Advertisement
Advertisement
Sushanta Ghosh

রাজ্যের অভিযোগ খারিজ, সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের

এলাকায় ফিরলে ফের অশান্তি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার।

Bengali political news: SC gives permission to CPM leader Sushanta Ghosh to return in Garbeta | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 18, 2020 8:42 am
  • Updated:November 18, 2020 8:42 am  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: জেলায় নিজের এলাকা গড়বেতায় ফিরতে পারবেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। সোমবার শীর্ষ আদালত সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় (Garbeta) ফেরার অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি এলাকায় ফিরলে ফের অশান্তি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন তিনি।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নিজের জেলায় যেতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী গড়বেতার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। ২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ডে গ্রেফতার হন তিন। ২০১২ সালে জামিন পেলেও জেলায় ঢোকার ছাড়পত্র দেয়নি আদালত। সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিল একদা সিপিএমের দোদন্ডপ্রতাপ নেতাকে জেলায় যাওয়ার।

Advertisement

[আরও পড়ুন : একুশের আগে ফুরফুরা শরিফে অধীর-মান্নান, সাক্ষাৎ এড়ালেন ত্বহা সিদ্দিকি]

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৮ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরতে পারেন সুশান্ত ঘোষ। তবে এই বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সুশান্ত ঘোষ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সবেমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা হাতে পেয়েছি। পুরোটা পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে জেলায় নিজের বাড়ি গড়বেতায় ফিরতে পারব বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজই তিনি দিল্লি গিয়ে সুপ্রিমকোর্টে যাবেন বলে জানান। পার্টির ডাকাবুকো এই নেতা জেলায় ফের ফিরতে পারবেন জানতে পেরে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন নিচুতলার কর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বপরে তিন মাসের জন্য এই ডাকাবুকো নেতাকে সাসপেন্ড করেছে সিপিএম। সেই শাস্তি এখনও বহাল রয়েছে। পার্টি ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই বিতর্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। একসময় গড়বেতার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেপ্তারর হন তিনি।

[আরও পড়ুন : ‘নেত্রীর কাছ থেকে কোনও ফোন পাইনি, দল আর নেত্রীর হাতে নেই’, অভিমানী মিহির গোস্বামী]

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দলের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন তিনি। বই লেখার কাজে হাত দেন। ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ শীর্ষক একটি বই লিখে পার্টির অন্দরে বিতর্কে জড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি তাঁকে বহিস্কারের সুপারিশ করে রাজ্য কমিটির কাছে। এরপরই কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য রামচন্দ্র ডোম ও আভাস রায়চৌধুরির উপর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গঠিত হয় কমিশন। কমিশনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সুশান্ত ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে দল। তবে বরখাস্ত করা হয়নি তাঁকে, তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল।  ডিসেম্বরের গোড়াতেই সেই সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement