Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় রাজ্যের, খারিজ বিমল গুরুংয়ের মামলা

গুরুংয়ের গ্রেপ্তারিতে আর কোনও বাধা থাকল না।

SC blow to Bimal Gurung, major relief for state
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 16, 2018 11:54 am
  • Updated:August 19, 2019 3:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় রাজ্যের। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিমল গুরুংয়ের করা দুটি মামলাই এদিন খারিজ হয়ে গেল সর্বোচ্চ আদালতে। ফলে গুরুংয়ের গ্রেপ্তারিতে আর কোনও বাধা থাকল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

[  চামলিংয়ের কাছে শান্তির গ্যারান্টি চাইবেন মমতা ]

Advertisement

বিমল গুরুংয়ের জঙ্গি আন্দোলনে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল পাহাড়। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকাকালীনই আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠে। নিজে সে আন্দোলন স্তিমিত করার চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি সমতলে ফেরার পর ফের অশান্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পাহাড় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে। আইন ফেরাতে বদ্ধপরিকর হয় রাজ্য। তা নিয়েই ছিল বিমল গুরুংয়ের অভিযোগ। প্রাক্তন মোর্চা নেতার অভিযোগ ছিল, পাহাড়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে রাজ্য। এমনকী তাঁর উপর নিগ্রহ হয়েছে বলেও অভিযোগ আনেন। যদিও শুক্রবার বিমল গুরুংয়ের দুটি মামলাই খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হল, পাহাড়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি রাজ্য। সেই সঙ্গে এই মামলায় কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করার প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হল। রাজ্যের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে তা বড় জয়। অন্যদিকে এই রায়ের পর বিমল গুরুংয়ের গ্রেপ্তারির পথে আর কোনও বাধা থাকল না বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত মোর্চা নেতা এখনও গা-ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

[  খেতে না দিয়ে মারধর করে ছেলে, স্বেচ্ছামৃত্যু চান মা ]

এদিকে এই রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা পাহাড়ের ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌতম দেব জানান, “সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী সংবেদনশীল আচরণই করেছে পাহাড়ে। রাজ্যে আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল প্রশাসন। পাহাড় হাসিখুশি ও সমৃদ্ধ থাকুক এটাই বরাবর চেয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী একশো বারের বেশি পাহাড়ে গিয়েছেন। গুরুংয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ে যে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তা ছিল রাজ্যের বিরুদ্ধে, পাহাড়ের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে। সংবিধানের পথে থেকেই রাজধর্ম পালনের চেষ্টা করেছে। দেশের শীর্ষ আদালত আজ সেই সংবিধানসম্মত ভূমিকাকে মান্যতা দিল। এটা কোনও রাজনৈতিক জয় নয়। বরং আইনের লড়াই ছিল, তাতেই জয় এল।”

[  ব্যর্থ চিকিৎসকরা, বাঁচানো গেল না জলপাইগুড়ির বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুকে ]

এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আজই সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিকিমেই বিমল গুরুং গা-ঢাকা দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছিল। ইতিমধ্যে পাহাড়ের অবস্থাও ফিরেছে। বন্ধ চা বাগানখুলি খুলেছে। মানুষ রুটি-রুজির পথ ফিরে পেয়েছেন। পাশাপাশি এই প্রথমবার পাহাড়ে শিল্প সম্মেলনেরও আয়োজন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রায়ের পর এখন বিমল গুরুং সম্বন্ধে রাজ্যের অবস্থান কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement