সম্যক খান, মেদিনীপুর: ক্লাবগুলিকে দেওয়া ১৩০০ কোটি টাকা ফিরিয়ে নিয়ে তা পরিযায়ী শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সংবাদমাধ্যমের করা এক প্রশ্নের জবাবে সায়ন্তনবাবু বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবগুলিতে ১৩০০ কোটি টাকা বিলিয়েছেন। সেই টাকা ফেরত নিয়ে পরিযায়ীদের অ্যাকাউন্টে দিলে কারও কাছে হাত পাততে হবে না।’
বুধবার জেলা বিজেপি আয়োজিত রক্তদান শিবির ও জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন রাজ্যের দুই সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। হাজির ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতারাও। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও তৃণমূলের সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কাছে নাম সুপারিশ করে। সব সুপারিশ মানতে বাধ্য নন রাজ্যপাল। সংবিধানেই সেই নির্দেশ আছে। কিন্তু তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা রাজ্যপালকে যে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছে তাতে তৃণমূলের বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের চাকরবাকরদের উপাচার্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সায়ন্তনবাবু।
তিনি বলেছেন, আগামী ৮ জুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রাজ্যের ১০ লক্ষ মানুষের কাছে করোনা থেকে শুরু করে আমফান ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যের ব্যর্থতার কথা কর্মীদের কাছে তুলে ধরে বক্তব্য রাখবেন। সায়ন্তনবাবু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই দাবি করেন যে তারা গ্রামবাংলায় আবাস যোজনায় প্রচুর বাড়ি করে দিয়েছেন। তাহলে আমফান ঝড়ে এত বাড়ি পড়ল কীভাবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অর্থে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলেই মনে করেন তারা। তাই তারা এর সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.