সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞসাবাদ চলাকালীনই গ্রেপ্তার করা হল সন্দেহভাজন সৌভিক বণিককে। তবে হত্যার ঘটনায় যোগসাজোশ নয়, আর্থিক প্রতারণার একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সাগরদিঘি থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিক ব্যক্তি। এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সৌভিককে।
জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পরই প্রকাশ্যে উঠে এসেছিল সৌভিক বণিকের নাম। তদন্ত শুরুর পর পুলিশ ও সিআইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছিলেন, একাধিক প্রতারণার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সৌভিক। জানা গিয়েছিল, বিবাহ বিচ্ছেদের পর একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করত সৌভিক। উদ্দেশ্য ছিল ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। ফলে সম্পর্ক তৈরির পর পরিকল্পনামাফিক হুমকি দিয়ে একাধিক মহিলার থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্ত। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারীরা অনুমান করেছিলেন হয়তো নিহত শিক্ষকের স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সৌভিকের। এরপরই হুমকি দিয়ে পাল পরিবারের থেকে টাকা নিতে শুরু করেছিল সৌভিক। কিন্তু আদতেই বিউটিদেবীর সঙ্গে সৌভিকের সম্পর্ক ছিল কি না বা আদৌ তাঁদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না। খুনের ঘটনায় সৌভিকের ভূমিকা কি, তা প্রকাশ্যে আসার আগেই মঙ্গলবার রাতে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল সৌভিককে। প্রসঙ্গত, জিয়াগঞ্জ শিক্ষক পরিবার খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সৌভিককে।
উল্লেখ্য, দশমীর সকালে বাড়িতে ঢুকে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের বাসিন্দা বন্ধুপ্রকাশ পাল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে আততায়ীরা। ঘটনার ৭ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহরাকে। কিন্তু প্রথম থেকে পুলিশের নজরে সৌভিকের ভূমিকা। ফলে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির পরেও সৌভিকের যোগসাজোশের বিষয়টি উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। সেই কারণেই মঙ্গলবারও সৌভিককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.