দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড় পুনরুদ্ধারে প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লার (Rezzak Mollah) দ্বারস্থ হলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। মঙ্গলবার সকালে হঠাতই রেজ্জাকের বাঁকড়ি গ্রামের বাড়িতে যান শওকত। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। অসুস্থ রেজ্জাকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি ভাঙড় পুনরুদ্ধারের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ নেন শওকত।
একসময় রেজ্জাকের হাত ধরেই শওকতের রাজনীতিতে হাতে খড়ি এবং উত্থান। কালের নিয়মে রেজ্জাক সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন এবং ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে ভাঙড় থেকে বিধায়ক হয়েছেন, হয়েছেন মন্ত্রীও। গত কয়েকবছর ভাঙড়ের দায়িত্ব নিয়েও নেতাদের এক করতে পারেননি জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী কিংবা বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। তাই গুরুদায়িত্ব পেয়েই একদা রাজনৈতিক অবিভাবক রেজ্জাকের দ্বারস্থ শওকত।
এভাবে শওকতের আগমনে খুশি অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লা। কিছুদিন আগেই তিনি ঘনিষ্ঠমহলে আক্ষেপ করেছিলেন, সিপিএমের লোকেরা খোঁজখবর নিলেও তৃণমূলের লোকেরা খোঁজখবর নেন না। এদিন শওকতের সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাহাজাহান মোল্লা-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। রেজ্জাক মোল্লা বলেন, “ভাঙড়ে সবাই ভাইজান বলে হামলে পড়ে। ওখানে কিছু করতে হলে একমাত্র শওকতই পারবে। কারণ ওঁর সেই দক্ষতা আছে এবং ‘রিসোর্স’ আছে। ভাঙড় পুনরুদ্ধার করতে হলে একমাত্র শওকতই পারবে।”
গুরুর কাছ থেকে এমন আশীর্বানী পেয়ে আপ্লুত শওকত। তিনি বলেন, “রেজ্জাক কাকার মতো এমন রাজনীতিবিদ গোটা দেশে বিরল। আশি বছর বয়সেও ওঁর স্মৃতিশক্তি, রাজনৈতিক জ্ঞান সবকিছুই টানটান। ২০১৬ সালে উনি ভাঙড়ের বিধায়ক হয়েছিলেন শেষবার। ভাঙড় থেকেই উনি রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তাই অনেক কিছু শিখলাম ওঁর কাছ থেকে। যেগুলি আগামিদিনে কাজে লাগবে।” যদিও বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন ভাঙড়ের বর্তমান বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারা জানেন তাঁদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই এখানে ওখানে ছুটছেন পরামর্শ নিতে। যদিও ওসব পরামর্শ নিয়ে লাভ হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.