নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ঐতিহ্যমণ্ডিত উপাসনা গৃহে বসে রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকদের একাংশ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এবার আচার্য অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অনেকেই অভিযোগ করেন, কথায় কথায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য পড়ুয়া, অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করেন। এটা যে উপাচার্যের ব্যক্তিগত আক্রোশ, তা বোঝাই যায়। তার উপর সম্প্রতি জমিজট বিতর্ক নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দ্বৈরথ তৈরি হয়েছে তাঁর। জমিজট কাটাতে আসরে নামতে হয়েছে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মাঝে উপাসনা গৃহে বসে নাম না করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিকে দুষেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আশ্রমিকদের নিয়ে নানা সময় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে।
উপাসনা গৃহ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অধীনস্থ। সেখানে বসে সাধারণত আশ্রমিক এবং উপাচার্যের সঙ্গে মত বিনিময় হয়। অথচ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অভিযোগ, উপাচার্য করছেন ঠিক বিপরীত কাজ। উপাসনা গৃহে বসেই বারবার রাজনৈতিক আলোচনা করছেন তিনি। যা নীতিবিরুদ্ধ। এই অভিযোগে উপাচার্যর বিরুদ্ধে এবার আচার্য অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠাল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.