সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির উপর হামলার পর থেকে শিরোনামে সন্দেশখালি। সময় যত এগিয়েছে ততই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বেড়েছে ক্ষোভ। একাধিকবার ক্ষোভের আগুনে জ্বলেছে সন্দেশখালি। ৫৬ দিন ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছে দ্বীপাঞ্চল, নজর রাখুন ঘটনাপ্রবাহে।
৫ জানুয়ারি: তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় যায় ইডি। আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
৬ জানুয়ারি: হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় FIR দায়ের করে ইডি। ইডির বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগও দায়ের করেন শেখ শাহজাহানের পরিচারক।
ওইদিনই ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসে। তিনি বলেছিলেন, “ইডি, সিবিআইকে ভয়ের কিছু নেই।”
১০ জানুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ডের জল গড়ায় হাই কোর্টে।
২৪ জানুয়ারি: দ্বিতীয়বার শাহজাহানের বাড়িতে ইডি হানা। তৃণমূল নেতাকে তলবের নোটিস বাড়িতে টাঙিয়ে দিয়ে যান তদন্তকারীরা।
২৯ জানুয়ারি: ইডি দপ্তরে হাজিরা এড়িয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান শাহজাহান।
২৬ জানুয়ারি: গোপন ডেরা থেকে সোশাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ ছিলেন শেখ শাহজাহান। সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা।
২৭ জানুয়ারি: ওই ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করা হয়।
৩০ জানুয়ারি: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।
৭ ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের মিছিল থেকে হামলার চেষ্টার অভিযোগ। পালটা শিবু ও উত্তমকে তাড়া। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।
৯ ফেব্রুয়ারি: শিবুর পোলট্রি, দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
১০ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে জারি হয় ১৪৪ ধারা। বন্ধ হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। শেখ শাহজাহানের সাগরেদ উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। গ্রেপ্তার হন উত্তম এবং বিকাশ।
১১ ফেব্রুয়ারি: গ্রেপ্তার হন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার।
১৩ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
১৫ ফেব্রুয়ারি: রামপুরে বাধা পান শুভেন্দু
১৬ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির পথে বাধা অধীর।
১৭ ফেব্রুয়ারি: শেখ শাহজাহানের আরেক সাগরেদ শিবু হাজরা গ্রেপ্তার হন।
২০ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দু। শিখ পুলিশ আধিকারিককে ‘খলিস্তানি’ বলে বিতর্কে জড়ান।
২১ ফেব্রুয়ারি: ডিজি রাজীব কুমার যান সন্দেশখালিতে।
২২ ফেব্রুয়ারি: শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনের আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল যায়। অজিত মাইতির আলাঘরে আগুন।
২৪ ফেব্রুয়ারি: ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গ্রামে ঘোরেন পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। পুলিশের নজর এড়িয়ে গ্রামে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
২৫ ফেব্রুয়ারি: অজিত মাইতিকে তাড়া গ্রামবাসীরা। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় হলধর আড়ি ও শক্তিপদ রাউতকে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, “হাই কোর্ট রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের হাত বেঁধে দিলে গ্রেপ্তার কীভাবে হবে? শেখ শাহজাহানকে তৃণমূল গার্ড করছে না। হাত পা বেঁধে দিয়েছে হাই কোর্ট। মানুষের সঙ্গে অন্যায় করলে কাউকে রেয়াত নয়।”
২৬ ফেব্রুয়ারি: গ্রেপ্তার অজিত মাইতি। তৃণমূল নেতা শংকর সর্দারের বাড়ি ভাঙচুর। হলধর সর্দারের খড়ের গাদায় আগুন। এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই।
২৭ ফেব্রুয়ারি: হাই কোর্টের নির্দেশ জামিন পেলেন নিরাপদ সর্দার।
২৮ ফেব্রুয়ারি: আরও একবার স্পষ্ট করে কলকাতা হাই কোর্টের তরফে জানানো হয় শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই।
২৯ ফেব্রুয়ারি: সকালে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান গ্রেপ্তার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। মিনাখার বামনপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.