ফাইল ছবি
সম্যক খান, মেদিনীপুর: যাকে বলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা! একে সাপের কামড়, তার উপর আবার করোনার থাবা, দুইয়ের যাঁতাকলে পড়ে প্রাণ প্রায় হারাতে বসেছিলেন বছর ৩৫-এর স্বরস্বতী কোলে। কিন্তু অসাধ্য সাধন করল শালবনী কোভিড (COVID) হাসপাতাল। জেলায় এই প্রথম সফল ডায়ালিসিস করে করোনারোগীকে বিপন্মুক্ত করলেন সেখানকার চিকিৎসকরা। সেই কারণে ইতিমধ্যেই টিম শালবনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে অন্য স্বাস্থ্যকর্তারা। এপ্রসঙ্গে শালবনী হাসপাতালের সুপার ডাঃ নবকুমার দাস বলেন, পাঁচদিন আগেই ওই মহিলা যখন শালবনী হাসপাতালে আসেন তখন তাঁর শারিরিক অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। তবে রবিবার ডায়ালিসিস করার পর তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।
জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনা (Chandrakona) টাউন থানার অন্তর্গত লালগড়ের বাসিন্দা সরস্বতী কোলে। সপ্তাহ দুয়েক আগে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল থেকে পাতা ও কাঠ কুড়িয়ে তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই কুড়োনো পাতার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল বিষাক্ত সাপ। আচমকাই বিষধর ছোবল বসায় সরস্বতীদেবীর নাকে। আতর্নাদ করে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। পিছনেই ছিলেন তাঁর স্বামী সুনীল কোলে। তাঁর কথায়, “প্রথমে স্ত্রীকে স্থানীয় চন্দ্রকোনা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মেদিনীপুরেই ওর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু মেদিনীপুর হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ফলে গত বুধবার সরস্বতীকে মেদিনীপুর থেকে শালবনী করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে শারীরিক অবস্থার অনেকটাই অবনতি হয়। প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া সত্ত্বেও সেগুলি ঠিকঠাকভাবে কাজ না করায় সাপের বিষ ছড়ি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাশাপাশি করোনার কারে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে কিডনির উপর।”
এক চিকিৎসকের কথায়, ডায়ালিসিস না করলে কিডনি বিকল হয়ে প্রাণ যেতে পারত রোগীর। তাই একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা জেলায় প্রথম করোনারোগীর ডায়ালিসিস করেছেন। আপাতত সুস্থ আছেন সরস্বতীদেবী। তাঁকে পৃথকভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.