সম্যক খান, মেদিনীপুর : পরীক্ষা নেওয়ার সবরকম ব্যবস্থা আগেভাগেই করে রাখা হয়েছিল৷ তৈরি ছিল হাসপাতালেই পৃথক ঘর৷ কিন্তু শেষ অবধি সায় দিল না শরীর৷ তাই মাধ্যমিক পরীক্ষাটা আর দেওয়া হল না সবংয়ের অ্যাসিড-কাণ্ডে জখম কিশোরীর।
সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা, নিহত তিন জওয়ান
পরীক্ষার আগের দিনই ওই কিশোরী বলেছিল, শয়তানটা অ্যাসিড ছুড়ে মুখ পোড়ালেও বিদ্যা তো পোড়াতে পারেনি৷ তাই সে হাসপাতালের বেডে শুয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে৷ কিন্তু বুধবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, কারও সঙ্গে সেভাবে কথাও বলতে পারেনি৷ বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে সে৷ সেখানেই তার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ ব্যবস্থায় যাতে কোনও খামতি না থাকে সে জন্য সকাল সকাল হাসপাতালে হাজির হয়ে যান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মনিটরিং টিমের জেলা আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে নিজে। কিন্তু পরীক্ষা শুরু আগে ওই কিশোরী নির্মলেন্দুবাবুকে জানান, তার শরীরে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। তাই সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ্ত বোধুক৷ তাঁর সামনেও একই কথা বলে সে। নির্মলেন্দুবাবু জানান, ওই কিশোরী লিখিতভাবেও জানিয়ে দিয়েছে, সে পরীক্ষা দিতে পারবে না৷
মোদি ম্যাজিকেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পাল্লা ভারী, দাবি বুকিদের
প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে গত সোমবার ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে তার উপর অ্যাসিড হামলা চালায় পড়শি যুবক। মুখের অনেকটাই ঝলসে যায় তার। তবু মনের জোরকে এক মুহূর্তের জন্য কাছছাড়া করেনি ওই কিশোরী। কিন্তু বুধবার শরীর এতোটাই খারাপ হয় যে, তার পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
হাতে গন্ধের ভয়ে পেঁয়াজ, রসুন কাটবেন না! হয় নাকি?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.