সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) বেহাল হতেই জল নিয়ে শুরু ‘রাজনীতি’। নিয়মমাফিক জল সরবরাহ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ। বললেন, চড়া দরে জল বিক্রি হচ্ছে। পালটা দিলেন দুর্গাপুরের মেয়র। দুর্গাপুরের ভুগোল জেনে তারপর সাংসদকে অভিযোগ করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
বুধবার দুর্গাপুরের বাড়ি থেকে ব্যারেজ ইস্যুতে মুখ খোলেন বর্ধমান–দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া (Surinderjeet Singh Ahluwalia)। রাজ্যকে আক্রমণ করে বলেন, “পাঁচ দিন ধরে শিল্পাঞ্চলের মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেচ দপ্তর বিপর্যয় মোকাবিলায় সম্পূর্ন ব্যর্থ। এরপরও রাজ্য কেন সেনার সাহায্য নিল না? আমাকে বলতে পারত। আমি এই বিষয়ে রাজ্যকে সাহায্য করতাম। তা না করে মানুষকে আরও বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিল তাঁরা।” এরপরই দুর্গাপুর নগর নিগমের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন, “ডিএসপি এলাকায় জল সরবরাহ হচ্ছে। কিন্তু ডিএসপির ১০ ওয়ার্ড বাদে ৩৩ টি ওয়ার্ডে কী সঠিকভাবে জল বন্টন হচ্ছে?”
এদিন অভিযোগের সুরে সাংসদ বলেন, “ট্যাঙ্কারে করে ঠিক কোথায় জল সরবারহ করা হচ্ছে? পছন্দের লোকেদের বাড়ি বাড়ি ট্যাঙ্কার যাচ্ছে। জলের ব্ল্যাক মার্কেটিং হচ্ছে। সাধারণ মানুষ নিগমের বন্টন করা জল না পেয়ে বাজার থেকে চড়া দড়ে জল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। নূন্যতম পানীয় জল সরবারহেও ব্যর্থ নিগম।” এদিন সাংসদের অভিযোগের জবাব দেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি। বলেন, “সাংসদের আগে ভাল করে দুর্গাপুরের ভূগোল জানা দরকার।” জল সমস্যা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “ আমাদের কাউন্সিলররা রাতদিন এক করে চাহিদা অনুযায়ী মানুষের কাছে জল পৌঁছচ্ছেন। পাউচ প্যাকেটেও বন্টন হচ্ছে। ব্ল্যাক মার্কেটিং যদি হয়ে থাকে তাহলে উনি নির্দিষ্ট করে অভিযোগ জানাক। সস্তার রাজনীতি করতেই এতদিন পর এসে এইসব বলছেন।” অর্থাত ভোটের আগে ব্যারেজকে ইস্যু করেই রাজনীতি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.