Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jhargram

জিনাতের দোসর যমুনা! রেডিও কলার থাকা সত্ত্বেও কেন অধরা ঝাড়গ্রামের বাঘিনী?

ওড়িশার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা থেকে যমুনা নামে একটি বাঘিনী ১৬ ডিসেম্বর বেরিয়ে গিয়েছে বলে খবর বনদপ্তর সূত্রে।

Rumour spreads on movement of another Royal Bengal Tiger around Orissa border near Jhargram after Zinat

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 21, 2024 8:24 pm
  • Updated:December 21, 2024 8:29 pm  

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: একে শ্যাডো জোন, তার উপর বিভিন্ন উচ্চতায় পাহাড়ঘেরা জঙ্গল। সেসব দুর্গম এলাকায় অনেক সময় কাজ করছে না স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত জিপিএস। ফলে রেডিও কলার পরানো থাকলেও ঝাড়খণ্ড থেকে ঝাড়গ্রামের সীমানায় ঢুকে পড়া রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার জিনাতের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে হিমশিম অবস্থা বনদপ্তরের। এবার নামানো হয়েছে থার্মাল ড্রোন ক্যামেরা। তবে ঝাড়গ্রামবাসীর আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে জিনাতের আরেক দোসরের গতিবিধি। বাঘিনীর পিছুপিছু যমুনা নামে আরও একটি বছর আড়াইয়ের বাঘিনী ওড়িশার সিমলিপাল থেকে বাংলার দিকে আসছে বলে গুজব ছড়িয়েছে। যদিও এনিয়ে আশ্বস্ত করেছে বনদপ্তর।

বেলপাহাড়ির পাহাড়, জঙ্গল ঘেরা শ্যাডো জোনে কাজ করে না মোবাইল নেটওয়ার্ক। প্রায়ই হারিয়ে যাচ্ছে স্যাটেলাইট সংযোগও। ফলে বাঘিনীর গলায় রেডিও কলার থাকলেও জিপিএসে সবসময় তার সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে না। আর এর ফলেই প্রতিনিয়ত বাঘিনীটির অবস্থান চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আর এবার তাই জিনাতকে পাকড়াও করতে নিয়ে আসা হয়েছে থার্মাল ড্রোন ক্যামেরা। এই ক্যামেরার সাহায্যে ইনফ্রারেড রশ্মি পাঠিয়ে তার অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। এই রশ্মি তাপমাত্রার হেরফেরেও কাজ করতে পারে। তাতেই বাঘের অবস্থান জানা সম্ভব বলে আশাবাদী বনদপ্তর।

Advertisement

রাজ্য বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা অবস্থানের জন্য সব সময় সিগন্যাল পাওয়া যায় না। তার ফলে বাঘিনীটির অবস্থান অনবরত জানা যাচ্ছে না। কিন্তু বনদপ্তর সব সময় ট্রাকে আছে। বনদপ্তরের লোকজন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এখানে একটাই বাঘ আছে। বাকিটা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আরেকটি যে বাঘিনীর কথা বলা হচ্ছে সেটি ওড়িশার সিমলিপাল জঙ্গলে আছে। জনস্বার্থে সবার উদ্দেশে বলব, গুজব ছড়িয়ে অকারনে মানুষকে আতঙ্কিত করবেন না। থার্মাল ড্রোন ক্যামেরাও আনা হয়েছে যাতে বাঘিনীটিকে ট্রেস করা যায়।” অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমামের বক্তব্য, “আমরা চব্বিশ ঘন্টা মনিটরিং করছি। পুরো টিম আমাদের প্রস্তুত আছে। আতঙ্কের কোন কারণও নেই। বাঘ একটাই আছে।”

এদিকে জিনাতের পিছুপিছু আড়াই বছরের আরেক বাঘিনী ওড়িশার সিমলিপাল থেকে বাংলার দিকে আসছে বলে একটা গুজব ছড়িয়েছে। তার জেরে বেলপাহাড়ির জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও বনদপ্তর জানিয়েছে, বেলপাহাড়িতে একটি বাঘিনীরই অস্তিত্ব মিলেছে এখনও পর্যন্ত। অন্য বাঘিনীর অবস্থান নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বনদপ্তরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা থেকে যমুনা নামে একটি বাঘিনী ১৬ ডিসেম্বর বেরিয়ে গিয়েছে। তবে সেটি এখনো সিমলিপাল এলাকার জঙ্গলেই রয়েছে। অন্য কোথাও তার গতিবিধি নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement