নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয়রা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্ট হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে চিকিৎসকের আচরণে আতঙ্কিত হয়ে গ্যাস্টিকে আক্রান্ত ওই রোগীকে বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিজনরা। কালীপুজোর মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে তেহট্ট এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
[স্ত্রী-র পরকীয়ার জেরে সালিশিসভায় অপমান, আত্মঘাতী হাবড়ার যুবক]
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৪৭-এর ওই রোগীর নাম নুরনাহার বেগম। বাড়ি তেহট্টর নওদাপাড়ায়। বুধবার বেলার দিকে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। আচমকা এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাড়ির লোকজন টোটো গাড়িতে তাকে তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসার পর রোগীর জ্ঞান ফেরে। রোগীকে অবজারভেশনে না এমারজেন্সিতে রাখা হবে এ নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাদ্রি পালের সঙ্গে রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে কথা কাটাকাটি বেধে যায়। পেশায় শিক্ষক রোগীর স্বামী মুজাত আলি মোল্লা। তাঁর অভিযোগ, ‘চিকিৎসক প্রথম থেকেই দুর্ব্যবহার করছিলেন। রোগীর জ্ঞান ফিরতে, তাকে কোথায় রাখা হবে অবজারভেশন না এমারজেন্সিতে এ কথা ভালভাবে জিঞ্জাসা করতেই উনি কটূক্তি করেন। রোগীর ওই অবস্থাতে উনি খারাপ ব্যবহার করায় সকলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ওনাকে বারবার সংযত হতে বললেও উনি শোনেননি। এমনকি আমাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। আমরা সমস্ত বিষয়টি জানিয়ে সহকারী সুপারের কাছে অভিযোগ করেছি। চিকিৎসকের ওই আচরণে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিকেলে তেহট্ট হাসপাতাল থেকে রোগীকে ভাল ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে এসেছি। রোগীর শরীর খারাপ। মাথায় যন্ত্রণা রয়েছে।’
[পরকীয়ার জের, স্ত্রীর প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন যুবকের]
ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসক এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘আমি এখন রোগী দেখছি। কথা বলতে পারব না।’ চার্জে থাকা সহকারী সুপার এস এম আজাদ বলেন, ‘আমার কাছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত একটা অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বামী। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাব।’ পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে এ বিষয়টি জানান হলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.