দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর। রবিবার সকালে তারদহে পুলিশের সামনেই লাঠি ও বাঁশ দিয়ে প্রার্থী ও দলের কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
১৯ মে অর্থাৎ সপ্তম দফায় জয়নগর লোকসভা আসনে নির্বাচন। তাই শেষলগ্নের প্রচারে ব্যস্ত সব দল। রবিবার সকালে লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার তারদহে নির্বাচনী প্রচারে যান জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর। অভিযোগ, দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে তারদহ বাজারে মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় ওই অঞ্চলের তৃণমূলের উপপ্রধানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সুভাষ নস্কর-সহ বাম সমর্থকদের উপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় প্রার্থী ও কর্মীদের। অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকির মুখে প্রচার বন্ধ করে ফিরে যেতে বাধ্য হন কর্মী-সমর্থকরা।
প্রার্থীর অভিযোগ, “তৃণমূল আমাদের প্রচার করতে দিচ্ছে না। এর আগেও প্রচারে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন বাম কর্মীরা।” এমনকী ওই এলাকায় গিয়ে তাঁকেও একাধিকবার হেনস্তার সম্মখীন হতে হয়েছে, এমনটাই জানান তিনি। সূ্ত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী।
বামেদের অভিযোগ উড়িয়ে অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান জানান, “ওঁরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে সুভাষবাবুরা ৩৪ বছরে এলাকায় কোনও কাজ করেননি। তাঁরা মানুষকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা পূরণ না করেই ফের ভোট চাইতে গিয়েছিলেন, তাই আজ মানুষ তাঁদের কাছে জবাব চেয়েছে। সেই উত্তর দিতে না পেরে ওরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি বা আমাদের দলের কেউ তাঁদের হেনস্তা করিনি বা প্রচারে বাধা দিইনি।”
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, “একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ভোটপর্বে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে এহেন ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.