সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেন (Train) মিস করা মানেই স্টেশনে রাত কাটাতে হবে। এই আশঙ্কায় দৌড়ে ট্রেন ধরার সময় এক মহিলা যাত্রীর হাত ফসকে যায়। কোলে চার মাসের সন্তানকে নিয়ে তিনি ছিটকে পড়েন প্ল্যাটফর্মে। এক পা ট্রেন ও প্ল্যাটফমের্র মাঝে তখনও ঢুকে। ট্রেন চলতে শুরু করে দিয়েছে। ফাঁক গলে মহিলার ট্রেন লাইনে পড়ে যাওয়া ছিল অবধারিত। তবে তার আগেই সাক্ষাৎ দেবদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন এক আরপিএফ (RPF) জওয়ান।
সেই মুহূর্তে জীবন বাজি রেখে লাফিয়ে পড়েন আরপিএফ জওয়ান কৃষ্ণ কুমার। সন্তান-সহ মাকে টেনে আনেন প্ল্যাটফর্মের ভিতরে। প্রাণে রক্ষা পান ওই মহিলা যাত্রী। এরপরই হইচই শুনে গার্ড ট্রেন থামান। মহিলার সাময়িক শুশ্রূষার পর তাঁকে সেই ট্রেনেই তুলে দেওয়া হয়। সোমবার রাতে আসানসোল-ঝাঝা (Asansol-Jhajha) প্যাসেঞ্জারে এই ঘটনায় সাহসিক জওয়ানকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেলের আরপিএফ বিভাগ। কোভিড পরিস্থিতির কড়া নজরদারির মধ্যে এই ধরনের ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটলেও আরপিএফের সচেতনতায় রক্ষা পান যাত্রীরা। কয়েক মাসের মধ্যে হাওড়া স্টেশনে এমন তিনি ঘটনা ঘটলেও আরপিএফ জওয়ান মাইকেল সোরেন, ডি কে চ্যাটার্জি ও সুরজ লামার তৎপরতায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়েও বেঁচে যান তিন যাত্রী।
পূর্ব রেলের (Eastern Rail) আরপিএফ বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার মধুপুর থেকে বিদ্যাসাগর দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন নাগমা খাতুন। বিকেলে ফেরার সময় এই ঘটনা। ট্রেন কম চলছে, এমন আশঙ্কায় তাঁরা আসানসোল-ঝাঝা প্যাসেঞ্জার দৌড়ে ধরতে যান। স্বামী এক সন্তানকে নিয়ে ট্রেন চড়লেও ওঠার সময় নাগমার হাত ফসকে যায়। কোলে চার মাসের সন্তানকে নিয়ে ছিটকে পড়েন প্ল্যাটফর্মে। ট্রেন আর প্ল্যাটফর্মের ফাঁক গলে তিনি নিচে পড়ার আগেই ধরে ফেলেন আরপিএফ কনস্টেবল কৃষ্ণ কুমার। প্রাণে বেঁচে যান মা ও ছেলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.