ছবি: প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: মহিলা কামরায় চাপলেই শ্রীঘরে পুড়ছে আরপিএফ। নিউ নর্মালে এতদিন যাবৎ এই ধরপাকড় বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ফের অভিযান শুরু করেছে আরপিএফ। আর প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি হাঁকাল তাঁরা। অর্থাৎ এদিন মহিলা কামরায় চড়ার অভিযোগ ১৭৬ জনকে পুরুষ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ (RPF)। পূর্ব রেলের আরপিএফদের এই ধরপাকড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ডিগনিটি’।
হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল ও মালদহ ডিভিশনের ট্রেনগুলির মহিলা কামরায় এদিন তল্লাশি চালায় আরপিএফ। রাত পর্যন্ত হাওড়া স্টেশনে আসা ট্রেনগুলির মহিলা কামরা থেকে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাওড়ার সিনিয়র কমান্ড্যান্ট অজিতকুমার দুবে জানান, লকডাউন পর্ব থেকে এ ধরনের গ্রেপ্তারি বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন প্রায় সব ট্রেন চলছে। যাত্রী সংখ্যাও বেড়েছে। মহিলারও কাজে বেরোচ্ছেন। ফলে তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্ধারিত মহিলা কামরাতে পুরুষ যাত্রী চড়লেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশিও।
ভারতীয় রেল আইনের ১৬২ ধারায় এই অপরাধ জামিনযোগ্য। ফলে বিভিন্ন আরপিএফ পোস্টে মহুরি মারফত পিআর বন্ডে বেশি টাকা নিয়ে ধৃতদের ছাড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তা অস্বীকার করেছে আরপিএফ। এদিকে এদিন শিয়ালদহ স্টেশনে লেডিজ স্পেশ্যাল থেকে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য স্টেশনেও এই তল্লাশি চলেছে।
শিয়ালদহের আরপিএফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট এ ইব্রাহিম শরিফ বলেন, “ধৃতদের প্রত্যেককে আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই তাঁরা জামিন নেন।” করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যায় জর্জরিত মানুষ। তার মধ্যে এই ধরপাকড় কতটা যুক্তিযুক্ত উঠছে সেই প্রশ্নও। তবে আরপিএফের যুক্তি, মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায় তাঁদের জন্য নির্ধারিত কামরায় পুরুষ চড়া বেআইনি এবং গ্রেপ্তারযোগ্য অপরাধ। তাই এই অভিযান চলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.