সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পূর্ব শ্রীপতিনগরের কে প্লটের হাজার বিঘায় বড় মাপের পায়ের ছাপ। নদীতে জাল ফেলতে যাওয়ার সময় তা দেখে মৎস্যজীবীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আনাগোনা হয়েছে। তা জানাজানি হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই বাঘের আতঙ্কে কাঁটা পাথরপ্রতিমা। খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান তাঁরা। পায়ের ছাপ দেখেন ঠাকুরান নদীর চরে। পূর্ব শ্রীপতিনগরের কে প্লটের হাজার বিঘাতেও একইরকমের পায়ের ছাপ দেখেন। উলটোদিকেই আজমলমারি ও ঢুলিভাসানির জঙ্গল রয়েছে। বাঘটি কোনও জঙ্গল থেকে বেরিয়েছে কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না। বাঘটি আবার বনে ফিরে গিয়েছে নাকি ওই এলাকাতেই রয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, বাঘের আনাগোনার খবর পাওয়ার পর রামগঙ্গা রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রামগঙ্গার রেঞ্জার অসীম দণ্ডপাট বলেন, “পায়ের ছাপগুলি যে বাঘের তা নিশ্চিত। সমস্ত সরঞ্জাম নিয়ে বনকর্মীরা এলাকায় পৌঁছে বাঘটি কোথায় আছে তা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আশা করা সব জানা যাবে।”
গত সোমবার গোসাবায় বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। মথুরাখণ্ড লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল পূর্ণবয়স্ক বাঘটি। বেশ কয়েকটি গবাদি পশুও তার হামলায় খতম হয়। এর পর এলাকাবাসীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে বাঘটি লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। সেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল এলাকাবাসীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা। সন্ধে নামার আগেই গোটা গ্রাম হ্যালোজেনের আলোয় মুড়ে ফেলা হয়। পাতা হয় জালও। দু’প্রান্তে দুটি খাঁচাও পাতা হয়েছিল। দেওয়া হয় ছাগলের টোপ। সেই টোপ গেলে বাঘ। মঙ্গলবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ ছাগলের লোভে খাঁচায় ঢোকে বাঘটি। সজনেখালিতে চিকিৎসাও করা হয় তার। সেই আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বাঘের ভয়ে কাঁটা পাথরপ্রতিমা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.