দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জিনাতের পর বাংলার সীমানার কাছাকাছি ফের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আনাগোনা। তা নিয়ে গঙ্গাসাগরের অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মাঝে ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠে বাঘের আতঙ্ক। পাহারা দিতে বাঘের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ বনকর্মীর।
অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সাতসকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। কুলতলির মৈপীঠ-বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিশোরী মোহনপুর গ্রামের শ্রীকান্ত পল্লি এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখেন তাঁরা। নদীবাঁধ বরাবর বাঘের বেশ কয়েকটি পায়ের ছাপ দেখা যায় বলেই দাবি তাঁদের। মুহূর্তের মধ্যে গোটা গ্রামে বাঘ আনাগোনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর তাকে কেন্দ্র করে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পৌঁছয় মৈপীঠ উপকূল থানায়। বনদপ্তরের নলগোড়া বিটেও খবর দেওয়া হয়। এরপর বনকর্মীরা গ্রামে পৌঁছন। তড়িঘড়ি জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা গ্রাম।
গোটা গ্রামে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেন বনকর্মীরা। এক বনকর্মীর দাবি, পাহারা দিতে গিয়ে রয়্যাল দর্শন হয় তাঁর। প্রাণভয়ে কার্যত সিঁটিয়ে যান তিনি। লাঠি উঁচিয়ে কোনওক্রমে উলটো পথে পালিয়ে প্রাণরক্ষা করে। বাঘটির বর্তমান অবস্থান জানতে পায়ের ছাপ অনুসন্ধান করছেন বনকর্মীরা। মোহনপুরের জঙ্গলে বাঘের গর্জন শোনা গিয়েছে বলেই দাবি বনকর্মীদের। সন্ধ্যা নামার পর আতঙ্ক যেন বেড়েছে আরও কয়েকগুণ। বাঘের আনাগোনা রুখতে আগুন জ্বালিয়ে পাহারায় বনকর্মীরা। রাতে বাড়ির বাইরে বেরতে বারণ করেছে বনদপ্তর। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে গ্রামবাসীদের। যতক্ষণ না বাঘ জালে ধরা পড়ছে, ততক্ষণ আতঙ্কে চোখের পাতা যেন এক করতে পারছেন না স্থানীয়রা। রয়্যাল আতঙ্কে বিনিদ্র রাত কাটাতে হবে বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.