সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ১৩ দিন চাকুলিয়ার জঙ্গলে ঘোরাফেরার পর এবার ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গলায় থাকা রেডিও কলার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বাংলায় প্রবেশ করে বাঘটি। স্বাভাবিকভাবেই ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির জঙ্গল সংলগ্ন বাসিন্দাদের আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুণ। এদিকে সতর্ক রয়েছে বাংলা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বনদপ্তরের কর্মীরা। আমজনতাকে ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।
গত ২৮ নভেম্বর ওড়িশার চিংড়ি ফরেস্ট থেকে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার জিনাত। তাকে ঝাড়গ্রাম ও ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এরপরই তাকে বন্দি করতে ময়দানে নামে বনদপ্তরের কর্মীরা। একটি মহিষ শাবককে জঙ্গলের মধ্যে গাছে বেঁধে রেখে বনদপ্তরের ট্রাঙ্কুলাইজার টিম নির্দিষ্ট দূরত্বে অপেক্ষা করে। কিন্তু ঘন, গভীর এই জঙ্গলে ভীত জিনাত দিনভর নিজেকে লুকিয়ে রাখে। কখনও আবার টোপ খেয়ে উধাও হয়ে যায় বাঘিনী। পরবর্তীতে তাকে ধরতে জঙ্গলে বসানো হয় বিশেষ খাঁচা। ১০ থেকে ১২ ফুট চওড়া তাঁবুর আকারে ওই খাঁচাটি আসলে গাছের ডাল, লতাপাতা দিয়ে ঘেরা ছোটখাটো একটা ঝোপের মতো। সামনে খোলা রাস্তা। ভিতরে রয়েছে টোপ হিসেবে মহিষ শাবক। টোপ ধরতে একবার রাস্তা দিয়ে হেঁটে ভিতরে ঢুকলেই খাঁচার গেট বন্ধ হয়ে যাবে আর বাঘিনী, হবে খাঁচাবন্দি। কিন্তু তাতেও ধরা দেয়নি জিনাত।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, ওড়িশা ছাড়ার পর ১৩ দিন চাকুলিয়ার জঙ্গলে ঘোরে বাঘিনী। আশঙ্কা সত্যি করে শুক্রবার ভোররাতে বেলপাহাড়ির শিমুলপালের ঠাকুরবাড়ি এলাকায় ঢোকে জিনাত। জনবসতি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আছে বাঘটি। বাংলা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বনদপ্তরের কর্মীরা তাকে বন্দি করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। রয়েছে ৪ টি ট্রাঙ্কুলাইজার টিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.