শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি পার্কে একটি রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের মৃত্যু৷ কয়েক মাস আগে এই শাবকটির নামকরণ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই শাবকটিরই মৃত্যু হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর৷ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল শাবকটি৷ চিকিৎসা চলছিল তার৷ মঙ্গলবার ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ৷ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন৷ শাবকের মৃত্যুর খবর মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী৷
[জলের অভাবে নষ্ট ফসল, আউশগ্রামে ঋণের দায়ে আত্মঘাতী কৃষক]
জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগেই তিন সন্তানের জন্ম দেয় বেঙ্গল সাফারি পার্কের বাঘিনী শিলা৷ তিনটি শাবকেরই নামকরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি শাবকগুলির নাম দেন কিকা, রিকা ও ইকা৷ মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে ছোট শাবকটিরই। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, শাবকগুলির মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট হওয়ায় এমনিতেই ইকার শরীর দুর্বল ছিল। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম ছল। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল সে। চলছিল স্যালাইন। এরই মধ্যে দু’দিন আগে খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পায় ইকা। এরপর থেকেই খুড়িয়ে চলছিল সে। দু’জন পশু চিকিৎসকে তত্বাবধানে তার চিকিৎসাও চলছিল৷ মঙ্গলবার সকাল নটা নাগাদ উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ।
[টিউশন থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় বকুনি, কীটনাশক খেল ২ বোন]
বেঙ্গল সাফারি পার্কের বায়োলজিস্ট ডাক্তার আদিত্য মিত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন সাতশো গ্রাম করে মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছিল ইকাকে৷ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছিল দেখভাল৷ তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তার৷ সূত্রের খবর, তিনজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ইকার৷ কলকাতায় দেহ পাঠান হবে ভিসারা পরীক্ষার জন্য৷ এরপর উত্তরবঙ্গেই করব দেওয়া হবে তাকে৷ সন্তান হারালেও এখনও স্বাভাবিক ব্যবহারই করছেন মা শিলা ও বাবা স্নেহাশিষ৷ তাদের চরিত্রে এখনও তেমন কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি৷ সুস্থ রয়েছে শিলার আরও দুই সন্তান কিকা ও রিকা৷ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন৷ তিনি জানান, ”শাবকটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছে৷ কিন্তু শারীরিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে৷ ঘটনার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.