ছবি : প্রতীকী
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁদের দেহ মাঝরাতে চুপিসাড়ে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহকাজ সম্পন্ন করায় বাড়ল জল্পনা। তবে তাঁরা কেউ করোনা পজিটিভ কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তাঁদের লালারস সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও রিপোর্ট মেলেনি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মৃত দু’জনের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাঁকুড়া ১ নং ব্লকের মনোহর গ্রামের বাসিন্দা বাদল হাঁসদা রবিবার এই হাসপাতালে ভরতি হন। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার সাতুড়ি থানার কিষান মান্ডি নামে আরেক ব্যক্তিকেও ওইদিনই আনা হয় হাসপাতালে। তাঁরা দুজনেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দিকাশি- সহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাই দু’জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করিয়ে শুরু চিকিৎসা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের কোনও বিদেশ যাত্রার রেকর্ড নেই। বিদেশ ফেরত কারও সংস্পর্শে তাঁরা এসেছিলেন, তেমনটাও নয়। তবে পুরুলিয়ার বছর আঠেরোর কিষাণ মান্ডি গত দু’মাস ধরে যক্ষ্ময় ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই পরিবারের ১০ জন সদস্যকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়ায়।
এরপর মধ্যরাতে দুজনের মৃতদেহ বাঁকুড়া শহরের মাঝে লক্ষ্যাতোড়া শ্মশানে দাহ করা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। দাহকাজের সময় শ্মশানের কর্মী এবং গাড়ির চালকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বাঁকুড়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদের দাবি, নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই দুই রোগীর পরিবার মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে। তাই জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের দাহ করা হয়েছে। তাঁর এই দাবি ঘিরেও সংশয় তৈরি হয়েছে অনেকের। তবে বাঁকুড়া পুরসভার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, যে চারজন এই দাহকাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তাঁদের সবরকম নিরাপত্তার সঙ্গেই কাজ করতে দেওয়া হয়েছে। শববাহী গাড়ি ও ইলেকট্রিক চুল্লি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.