শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: রামজীবনপুর পুরসভা আদৌ কার দখলে রয়েছে, তা নিয়ে অব্যাহত তৃণমূল-বিজেপি তরজা। বিজেপির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুর চেয়ারম্যানের ঘরের চাবি পাওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পালটা বোর্ড গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূলের।
রামজীবনপুর পুরসভায় তলবি সভা ডাকা হয় বুধবার। ১১ সদস্যের পুরবোর্ডের চারজন তৃণমূল ও একজন নির্দল কাউন্সিলর ওই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। বিজেপির দাবি, তাদের পক্ষ থেকে ছ’জন কাউন্সিলর পুরসভায় উপস্থিত থেকে বোর্ড দখল করে। ওইদিনই বিজেপি কাউন্সিলর গোবিন্দপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। যদিও এই নির্বাচনকে বেআইনি বলে দাবি করেছে তৃণমূল। বিজেপি সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে পুর আইনকেই হাতিয়ার করেছে। যদিও ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল জানিয়ে দেন, “তলবি সভা ও চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ম মেনে হয়নি। রিপোর্ট এলে খতিয়ে দেখা হবে।”
তবে পুরসভার এই হাতবদল নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরী বলেন, “বিজেপির এই বোর্ড দখল বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। এভাবে বোর্ড দখল করা যায় না। আমরা আইনি পথে মোকাবিলা করব।”তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপি যেভাবে রামজীবনপুর পুরবোর্ড দখল করেছে তা বেআইনি ও অসাংবিধানিক। গলায় মালা পরে চেয়ারে বসে পড়লেই চেয়ারম্যান হওয়া যায় না। এমনকী চরম অন্যায়ভাবে চেয়ারম্যানের বোর্ড উলটে দেওয়া হয়েছে তা ফৌজদারি অপরাধের সমান। আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি। গোটা বিষয়টি আইনি পথে মোকাবিলা করা হবে।”
বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও একইরকম চাপা উত্তেজনা রামজীবনপুরে। এদিন তৃণমূল চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরি পুর চেয়ারম্যানের অফিসে দিয়ে বসে পড়েন। এসডিওর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম মেনে বোর্ড গঠনের কথা আগে থেকেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানানো হয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও বোর্ড গঠনের দিন এবং তারপরেও হেনস্তা করা হচ্ছে। আইনি পথে মোকাবিলা করারই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি উভয়পক্ষই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.