পলাশ পাত্র, তেহট্ট: করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থীপদ নিয়ে পোস্টার ঘিরে জেলাজুড়ে শোরগোল৷ এলাকার পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী ফের বাজার এলাকায় তৃণমূলের স্থানীয় প্রার্থীর দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়েছে। উপনির্বাচন কবে, তা এখনও ঠিক হয়নি৷ অথচ দলের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে ফের ভোটপ্রস্তুতির জোর উদ্যোগ৷ আর তা ঘিরেই এবার সমস্যা৷
উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম সেখানে ঘুরছে। এই প্রার্থীরা কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে – তা নিয়েও নিজেদের মধ্যে জোর তর্ক-বিতর্ক চালাচ্ছেন এখানকার নেটিজেনরা৷ তারই মধ্যে করিমপুরে তৃণমূলের স্থানীয় প্রার্থী হওয়া নিয়ে পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সাধারণত কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয় বিধায়ক পদ শূন্য হওয়ার ছ’মাসের মধ্যে। বিজ্ঞপ্তি পড়ে পঁয়ত্রিশ থেকে সাঁইত্রিশের মধ্যে। তারপর ভোট হওয়ার বিষয়। কিন্তু এতগুলো ধাপের মাঝেই প্রার্থীর বিষয়ে নাম ওঠা, প্রকাশ্যে পোস্টার -আলোচনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ দলের ক্ষেত্রে দল যেখানে যাকে নির্বাচন করবে, তিনিই হবেন প্রার্থী। এই অবস্থায় কীভাবে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে, এনিয়ে কেন পোস্টার দিয়ে দাবি উঠছে৷ আর কেনই বা বিভিন্ন গ্রুপে এ নিয়ে আলোচনা চলছে? এসব প্রশ্ন থাকছেই৷
২০১৬ সালে এই এলাকায় এখনকার মতো সড়গড় ছিল না সোশ্যাল মিডিয়া। করিমপুরে সেসময় ফ্লেক্স পড়েছিল। দাবি উঠেছিল, বহিরাগত নয়, স্থানীয় কাউকেই প্রার্থী করতে হবে। এখনও সেই একই দাবিতে করিমপুরে এনিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে তৃণমূলের বিভিন্ন গ্রুপে কয়েকজন প্রার্থীর নাম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাম উঠে এসেছে করিমপুর দুই ব্লকের সংখ্যালঘু দাপুটে এক যুবনেতা, জেলার এক সংখ্যালঘু নেতা, এবং এক মহিলা নেত্রীর। কোনও নেতাকে ভূমিপুত্র, কাউকে দক্ষ নেত্রী, কাউকে দাপুটে নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে প্রার্থীর দাবি করা হয়েছে।
১৯৭২ সালে কংগ্রেস নেতা অরবিন্দ মণ্ডল বিধায়ক হন। এরপর করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দীর্ঘ চুয়াল্লিশ বছর পর ২০১৬ সালে কোনও ডানপন্থী বিধায়ক জয়লাভ করেন। তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র সতেরো হাজারের বেশি ভোটে সিপিএম প্রার্থীকে পরাজিত করেন। ২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়া মহুয়া মৈত্র এবছর লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছেন। তিনি গত ৫ বছরে বেশ কিছু কাজ করেছেন বলে স্বাভাবিকভাবেই এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তবে করিমপুরে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে পোস্টার পড়া নিয়ে করিমপুর দুই তৃণমূল ব্লক সভাপতি রাজু মল্লিকের দাবি, দলের কেউ পোস্টার দেয়নি। এসব বিরোধীদের কাজ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.