নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: প্রশ্নের মুখে হাসনাবাদে মৃত সরস্বতী দাসের রাজনৈতিক পরিচয়। মৃতের পরিবারের দাবি, বিজেপি নয়, তৃণমূল কর্মী ছিলেন মৃত সরস্বতী দাস। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অরাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে সরস্বতীদেবীকে।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। এদিন রাতে বাড়ি ফিরে সরস্বতীদেবীকে দেখতে না পেয়ে তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করেন স্বামী শুভঙ্কর দাস। স্ত্রীকে খুঁজতে খুঁজতে বাথরুমের কাছে যান তিনি। বাথরুমের পাশে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সরস্বতীদেবী। তড়িঘড়ি তাঁকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান শুভঙ্করবাবু। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে সরস্বতীদেবীর পাশ থেকেই উদ্ধার হয় একটি কাঠ ও গামছা। পুলিশের অনুমান, গুলি নয় কাঠের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, মৃত সরস্বতী দাস সুদের ব্যবসা করতেন, শান্তনু মণ্ডল নামে তাঁর একজন অংশীদারও রয়েছেন। পুলিশের অনুমান, ব্যবসা সংক্রান্ত কারণেও খুন করা হতে পারে সরস্বতীদেবীকে। যদিও শান্তনু মণ্ডলের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে সরস্বতীদেবীকে।
পাশাপাশি, মৃতার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও দানা বাঁধছে বিতর্ক। এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও সরস্বতী দেবীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। এমনকী তাঁদের পুরো পরিবারই তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত বলেই দাবি তাঁদের। পালটা মৃতাকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মাস তিনেক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ওই মহিলা। তবে রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, খুনের কারণ সন্ধানে মরিয়া পুলিশ। উত্তপ্ত হাসনাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.