সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে রুপোর মুকুট পরিয়ে সংবর্ধনা। মূল্যবান উপহার ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এলাকার মানুষ আর কর্মীরা চাঁদা তুলে মুকুটটি বিধায়ককে উপহার দিয়েছেন বলে জানান দলের স্থানীয় নেতারা।
শনিবার সন্ধেয় পাণ্ডবেশ্বরের (Pandabeswar) কুমারডিহি পঞ্চায়েতের জোয়ালভাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় একটি সংবর্ধনা সভা। সেই সভায় সংবর্ধিত করা হয় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। গ্রামবাসী ও তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক ও প্রায় এক কেজি ওজনের একটি রুপোর মুকুট উপহার দেওয়া হয় বিধায়ককে। সংবর্ধনা সভাতেই বিধায়কের মাথায় সুসজ্জিত রুপোর মুকুটটি পরিয়ে দেন দলের কর্মীরা।
বিধায়ককে দামি উপহার দেওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এদিন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথবাবুকে দামি উপহার দেওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। জেলার বিজেপির (BJP) মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায় ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, “তৃণমূলের টাকার অভাব নেই। বেআইনিভাবে আয়ের সীমাও নেই। বালি ও কয়লাা তারই টাকা রোজগার। সেই টাকাতেই বিধায়ককে মুকুট উপহার দেওয়া হয়েছে।” পালটা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “এতে বিতর্কের কিছু নেই। গ্রামের লোকজন আর দলের কর্মীরা নিজেরা চাঁদা তুলে ভালবেসে উপহারটি দিয়েছেন। তাই আমি সেটি গ্রহণ করেছি।” উপহার পাওয়া রুপোর মুকুটটি স্থানীয় কালীমন্দিরে অর্পণ করা হবে বলেও নরেন্দ্রনাথবাবু জানান। আয়োজকদের পক্ষে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি কিরিটি মুখোপাধ্যায় জানান, “নরেন্দ্রনাথবাবু একদিকে যেমন বিধায়ক , তেমনই তিনি এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিভাবক।” রুপোর মুকুট উপহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন সম্বর্ধনায় নতুনত্ব কিছু করার ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ। তিনি আরো জানান, “রুপোর মুকুটটির জন্য গ্রামের মানুষজন ও দলের কর্মীরা সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.