Advertisement
Advertisement
শ্রমিক স্পেশ্যাল

শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে পচা-দুর্গন্ধযুক্ত খাবার, চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা

১ সিটে দশ জন! দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বর্ধমানের যাত্রী।

rotten food given in Shramik special train, passengers shares experience
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 30, 2020 8:37 pm
  • Updated:May 30, 2020 8:41 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দুই রাত দুই দিনের ট্রেন সফর যেন দুঃস্বপ্ন। কারও জীবনে যেন এমন দিন কখনও না আসে। ভগবানের কাছে এটাই প্রার্থনা করছেন  শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের যাত্রীরা।

লকডাউনে গুজরাটে আটকে দুর্গাপুরের তরুণী পূরবী ভট্টাচার্য, তাঁর মুখেই শোনা গেল যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের কথা। শুক্রবার স্পেশ্যাল ট্রেনে তিনি খড়গপুর হয়ে বর্ধমানে ফিরেছেন। ২৭ মে রাত থেকে ২৯ মে দুপুর পর্যন্ত যেন নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। আগেও বহুবার ট্রেনে যাতায়াত করেছেন কিন্তু এমন অমানবিক, দু্র্বিষহ, আতঙ্ক, কষ্টের সফর কোনওদিনই করতে হয়নি তাঁকে। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে এমনই অভিযোগ করছেন পূরবী। ট্রেনে উঠে থেকেই দুর্ভোগ।

Advertisement

তাঁর কথায়, “ট্রেনে উঠে সিটে বসতে গিয়ে দেখি আগে থেকেই সেখানে ১০ জন বসে রয়েছেন। সামাজিক দূরত্বের কোনও বালাই নেই।” এই সবে নরক যন্ত্রণার শুরু। এর পর রাতে খাবার দেওয়া হল। সেই খাবার পচা, দুর্গন্ধময় বলেও দাবি করেছেন তিনি। শৌচালয়ে গিয়ে আর এক যন্ত্রণা। পুতিগন্ধময় পরিবেশ। কোনও পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই সেখানে। তিনি জানান, পরদিন খাবারও মেলেনি। একবার কোনও এক জায়গায় ট্রেন থামলে একটা কলা ও পাঁচ টাকার বিস্কুটের প্যাকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই খেয়ে দিনভর কাটাতে হয়েছে ট্রেনের সকলকে। পরদিন রাত দেড়টার সময় খাবার দেওয়া হয়েছিল। অত রাতে কেউ খাবার খেতেও পারেননি পচা থাকায়।

[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা, চুঁচুড়ায় পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে পাড়ায় ঢুকতে বাধা স্থানীয়দের]

তাঁর দাবি, ট্রেনের মধ্যেই অনেকে বসে মদ খেয়েছেন, সিগারেটে খেয়েছেন। পূরবী বলেন, “জিআরপি বা আরপিএফ বা রেলের কেউ ছিল না ট্রেনে। শুধু ড্রাইভার আর গার্ড। কাকে বলব সমস্যার কথা।” রাজ্যে পৌঁছেও বিড়ম্বনা। প্রথমে ট্রেন খড়গপুরে থেমে যায়। বলা হয় হাওড়া যাবে না। কয়েকঘণ্টা উৎকণ্ঠায় কাটানোর পর জানানো হয় ট্রেন মালদহ যাবে। তার পর বর্ধমান স্টেশনে তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা এমন পরিস্থিতিতে যেন আর কাউকে পড়তে না হয়।”
তবে ওইদিন মুম্বই থেকে অন্য ট্রেনে ফিরেছেন কাটোয়ার সেলিম মল্লিক তাঁর অভিজ্ঞতা অবশ্য বেশ ভাল। তিনি বলেন, “ট্রেনে খাবার, জল থেকে শুরু সবকিছুই ভাল ছিল। কোনও সমস্যাতেই পড়তে হয়নি আমাদের।” যা শুনে পূরবীদেবীদের ট্রেনে ফেরা যাত্রীরা বলেন, “ভাগ্যবান আপনারা মুম্বই থেকে ফিরেছেন।”

[আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত আরও সাত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement