ধীমান রায়, কাটোয়া: বড়দিনের বাজারে বর্ধমা্নে মহার্ঘ গোলাপ। সোমবার পর্যন্ত বর্ধমান শহরে গোলাপের দাম প্রতি পিস ছিল ৪ থেকে ৫ টাকার মধ্যে। মঙ্গলবার তা বেড়ে যায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণে। গোলাপ ফুল দিয়ে যিশুকে শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার বর্ধমানের দুটি প্রাচীন চার্চে ছিল অসংখ্য মানুষের ভিড়। তবে শুধু খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীরাই নন, অগণিত হিন্দু নরনারীও এদিন চার্চে ভিড় করেছিলেন। বড়দিনে শহর বর্ধমান দেখল এক সম্প্রীতির আবহ।
বাংলার পৌষমাসের প্রথম দিক। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পৌষমাস মলমাস। তাই শুভকর্ম নিষিদ্ধ। স্বভাবতই পৌষমাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ের চল নেই। আর বিয়ের দিন না থাকায় পৌষমাসে ফুলের বাজার থাকে কিছুটা পড়তির দিকে। শীতের মরশুমে ফুলের বাজারে ভরে থাকে গাঁদা ফুলে। সেই সঙ্গে রজনীগন্ধা আর গোলাপ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে কার্জন গেট সংলগ্ন বাজার, তেঁতুলতলা বাজার, স্টেশনবাজার প্রভৃতি এলাকায় রয়েছে ফুলের দোকানগুলি। ফুল বিক্রতারা জানিয়েছেন সোমবার পর্যন্ত তাঁরা ৪ থেকে ৫ টাকা প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি করেছিলেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই খরিদ্দারদের ভিড়ে গোলাপ বিক্রি হয় কোনওটা ১০ টাকা, কোনওটা ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি পিস।
[ ইটভাটায় দেওয়াল ধসে তিন শ্রমিকের মৃত্যু, উত্তেজনা নদিয়ার পানিহাটিতে ]
কেন এদিন মহার্ঘ গোলাপ? জানা গিয়েছে বড়দিনে যিশুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এদিন শহরের চার্চে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বর্ধমানে কার্জন গেটের পাশে ও তেঁতুলতলা বাজারে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দুটি চার্চ। এই চার্চ দুটিতে এদিন শহরের অগণিত হিন্দু নরনারী সকাল থেকেই সারাদিন ভিড় করেন। তাঁরা রীতিমত লাইন দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকেন। গোলাপ ফুল ও মোমবাতি জ্বেলে প্রার্থনা করেন। ফুল বিক্রতারা জানিয়েছেন আগে বড়দিনে সচরাচর খ্রীষ্টধর্মালম্বীদের মধ্যেই এই রীতি দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে চার্চ এখন অখ্রীষ্টানদের কাছেও পুণ্যক্ষেত্র। তাই ভিড় ক্রমশ বাড়ছে চার্চে। আর এই বড়দিনে গোলাপ বিক্রি করে কপাল খুলেছে বর্ধমানের ফুল বিক্রেতাদের।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান
[ ডুয়ার্সের চা বাগানে ফের খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ, দেখুন ভিডিও ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.