সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রোজ ডে পার হয়েছে সেই সাত দিন আগে। কিন্তু তাতে কী? ভালোবাসার দিনে লাল গোলাপ না দিলে হয়! সদ্য প্রেমে ডুবে থাকা প্রেমিকা থেকে খানিকটা রোমান্টিক অ্যাঙ্গেলে থাকা বান্ধবী, কিংবা গৃহিণী, সকলেই এই দিনটির দিকে তাকিয়ে। কখন সঙ্গী উপহার দেবে লাল গোলাপ। সেই কারণেই আকাশ ছুঁল গোলাপ।
কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজারে ভ্যালেন্টাইন ডে-র আগে সোমবার গোলাপ কিনতে গেলেই ছ্যাঁকা। এদিন মিনিপল ভ্যারাইটির গোলাপ বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ছ’টাকা করে। সাদা মিনিপল একেবারে একলাফে ১০ টাকা বেশি। ১৬ টাকা দিয়েও হাতে পাননি প্রেমিকরা। গোলাপী রঙের মিনিপল ১৮ টাকা প্রতি পিস। আর বেঙ্গালুরুর ডাচ গোলাপ রীতিমতো আগুন। একেবারে ৩০ টাকা। কিন্তু তবুও দেদার বিক্রি হয়েছে কলকাতা-সহ শহরতলি, হাওড়া, বর্ধমান, প্রান্তিক পুরুলিয়া এমনকী শিলিগুড়িতেও। এমন তথ্য দিলেন সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। তাঁর কথায় , “গোলাপ ফুল চাষিরা এবার বেশ ভাল দাম পেলেন ভালবাসার দিনের আগে। মল্লিকবাজারে বেঙ্গালুরুর ডাচ গোলাপ ৩০ টাকাতেও দেদার বিক্রি হয়েছে। রোজ ডেতেও এত বিক্রি হয়নি।”
ভালবাসা দিবসের আগে কলকাতা ও শহরতলিতে গোলাপ বিক্রি হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রান্তিক পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও কলেজ পড়ুয়া, স্কুল পড়ুয়ারা ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল আসার আগেই গোলাপ সংগ্রহ করে রাখছেন। ফলে খানিকটা হতবাক এই জেলার ফুল বিক্রেতারাও। তাঁদের কথায়, “আমাদের এই জেলাগুলিতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র সকাল বা বিকালের দিকে গোলাপ মোটামুটি বিক্রি হত। এবার দেখছি একদিন আগে থেকেই বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাগ্যিস বুদ্ধি করে লাল ছাড়া সাদা, গোলাপি, হলুদ গোলাপ এনেছিলাম।” শহর পুরুলিয়ার বাসস্ট্যান্ডের ফুল বিক্রেতা তাপস অধিকারী বলেন, “সকাল থেকেই কলেজের ছেলে-মেয়েদের ব্যাপক ভিড় ছিল স্টলে। বিক্রিবাটা মন্দ হয়নি। প্রেম দিবসের আগের দিন এমন গোলাপ বিক্রি সাম্প্রতিককালে দেখিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.