ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: এবার রোপওয়ে চড়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে বক্সা দুর্গে৷ তিন হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের মাথায় দুর্গম এই দুর্গটির পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস৷ ব্রিটিশ আমলে এই দুর্গেই বন্দি করে রাখা হত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের৷ বক্সা দুর্গের বন্দিদের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চিঠি আজও জ্বলজ্বল করছে প্রবেশপথে৷ হেরিটেজ এই দুর্গটিকে কেন্দ্র করে বাংলায় পর্যটনের প্রসারে রোপওয়ে তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য৷ পর্যটন দফতরের তরফে সমীক্ষা শুরুর প্রক্রিয়া চলছে৷ ইতিমধ্যে এলাকাটি ঘুরে দেখে এসেছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব৷ রোপওয়ে তৈরি হলে তা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাবে৷ সেক্ষেত্রে বন দফতরের অনুমোদন প্রয়োজন৷ যদিও ছাড়পত্র পেতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন৷ বলেছেন, “আমরাও চাই, বক্সা দুর্গে পৌঁছতে রোপওয়ে তৈরি হোক৷”
পর্যটন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর (উত্তরবঙ্গ) সুনীল আগরওয়াল বলেছেন, “রোপওয়ে তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এজেন্সি সমীক্ষার কাজ শেষ করার পরই এজন্য কত টাকা খরচ হবে তা জানা যাবে৷” বক্সা দুর্গে রোপওয়ে তৈরি হলে পর্যটনের বিশেষ প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু৷ তিনি বলেন, “আগে সামসিং-সহ বক্সা দুর্গের রুটে বেশ কয়েকটি রোপওয়ে ছিল৷ তা ছাড়া বক্সা রোড (বর্তমানে আঠাশ মাইল) পর্যন্ত রেল পথ ছিল৷ অতীতে ভুটানের পুনাখা যাওয়ার ক্ষেত্রে বক্সা দুর্গের পাহাড়ি রাস্তাই ছিল মূল পথ৷ দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক বক্সা দুর্গে যেতে চান৷ কিন্তু খাঁড়া পাহাড়ি পথে হাঁটতে না পারায় অনেকেই পৌঁছতে পারেন না৷ রোপওয়ে হলে সেখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে৷ শুধু বক্সা দুর্গ নয়৷ বক্সা পাহাড়ে একশো এগারো বছরের হেরিটেজ ডাকঘর রয়েছে৷ সেখানে এখনও রানার ছুটে চলেছেন৷ বহু প্রাচীন কাঠের বাড়ি রয়েছে৷ সবটাই হেরিটেজের অন্তর্গত৷ এসব কিছুরই সংরক্ষণ প্রয়োজন৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.