দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: পর্যটন মানচিত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে চুঁচুড়া। খুব শীঘ্রই চুঁচুড়ার ঐতিহাসিক ইমামবাড়া থেকে ব্যান্ডেল চার্চের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে তৈরি হতে চলেছে রোপওয়ে। চুঁচুড়া পুরসভার আহ্বানে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোপওয়ে তৈরি করতে এগিয়ে এসেছে কলকাতারই একটি বেসরকারি সংস্থা। ইমামবাড়া থেকে ব্যান্ডেল চার্চ পর্যন্ত গঙ্গার ধার বরাবর ওই রোপওয়ে তৈরি করতে আনুমানিক ব্যয় হবে ৯৮ কোটি টাকা। সমস্ত ব্যয়ভারই বহন করবে ওই বেসরকারি সংস্থা। আগামী দিনে এই রোপওয়ে তৈরি হওয়ার পর পর্যটন মানচিত্রে চুঁচুড়ার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই শহর।
[ নয়াগ্রামের পর এবার ঝাড়গ্রাম, ট্যারান্টুলার আতঙ্কে কাঁটা গোটা জঙ্গলমহল ]
রোপওয়ে তৈরি করতে গেলে সয়েল টেস্টিং থেকে অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কাজের ছাড়পত্র মিলেছে সম্প্রতি। চুঁচুড়া পুরসভা দীর্ঘ দিন ধরে এই রোপওয়ে তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু কোনও সংস্থা নিজে থেকে এই কাজ করতে বিশেষ আগ্রহ না দেখানোয় বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। সম্প্রতি কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা রাজি হওয়ায় রীতিমতো তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় জানান, ওই সংস্থা রোপওয়ে তৈরির সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে। পুরসভার কোনও ব্যয় হবে না। রোপওয়ে তৈরি হওয়ার পর যখন চালু হবে তা থেকে পুরসভার য়ে রজস্ব আদায় হবে তারই একটা অংশ ওই রোপওয়ে প্রস্তুতকারী সংস্থা পাবে। এই চুক্তিতেই সংস্থাটি কাজ করতে সম্মত হয়েছে। মাটি থেকে ৫২ ফুট উঁচু দিয়ে এই রোপওয়ে তৈরি হবে। আর এই রোপওয়েতে করে যাওয়ার আকর্ষণ ও রোমাঞ্চ যে অন্য মাত্রা এনে দেবে তা এককথায় স্বীকার করে নেন চুঁচুড়াবাসী। এ বিষয়ে ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার ফ্রান্সিস জানান, এটা খুবই আনন্দের কথা। এখানে যাঁরা আসেন তাঁরা শুধু ব্যান্ডেল চার্চ দর্শনের জন্য আসেন না। তাঁরা দর্শনের পাশাপাশি আনন্দও করেন। এই রোপওয়ে তৈরি হলে বাইরে থেকেও বহু লোক তখন আসবে। পর্যটনের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, বর্ষার পরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
[ সন্তানই নেই, অথচ স্বামীর বিরুদ্ধে তাকেই মারধরের অভিযোগ আনলেন স্ত্রী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.