সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিন রায়মঙ্গল নদীতে নৌকা নিয়ে ভেসে পড়েন মৎস্যজীবীরা। মাছ ধরেই সংসার চলে তাঁদের। তবে সম্প্রতি গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাছ ধরার নৌকায় করে বাংলাদেশে থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার চেষ্টা চালাতে পারে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।
[রিফিউজি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের নির্বীজকরণের ভাবনা বাংলাদেশে]
সুন্দরবনের ‘টি জংশন’ থেকে রায়মঙ্গল নদী ধরে একদিকে এগোলে বাংলাদেশ। আর অন্য দিকটায় ভারতের ঝিঙ্গা আর ঝিল্লার জঙ্গল। ‘টি জংশন’-এর ল্যাজের দিকটা চলে গিয়েছে হেমনগরের দিকে। আর রায়মঙ্গল সোজা এগিয়ে গিয়েছে সমুদ্রের লক্ষ্যে। সমুদ্রের দিকে আরও এগিয়ে গেলে পড়বে বিহারীখাল। গহন জঙ্গল। এর মধ্যেই ‘টি জংশন’-এ রায়মঙ্গলের মাঝখানে নোঙর করে রয়েছে বিএসএফ-এর ‘ফ্লোটিং বর্ডার আউটপোস্টে’। সীমান্তরক্ষী বাহিনী এখানে পাহারা দেয় জলসীমান্ত। এক আধিকারিক জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জাহাজের চেহারার এই আউটপোস্টের চারটি স্পিডবোটের প্রত্যেকটিই জলে। কারও কোনও বিরাম নেই। কারণটি হচ্ছে মায়ানমারের রোহিঙ্গা। দিল্লির নির্দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের দিকে বিশেষ সতর্ক বিএসএফ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের টেকনাফে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে যে এনজিও কর্মীরা যাতায়াত করছে, তাদের মধ্যে রয়েছে জঙ্গি নেতারাও। বাংলাদেশের বারোটি এনজিওকে চিহ্নিত করে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, মায়ানমারের যুবকদের সাহায্য করার নামে জঙ্গি নেতারা তাদের মগজধোলাই করছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যে কোনও সময়ই চোরাপথে ভারতের ভূখণ্ডে পাঠাতে পারে জঙ্গি নেতারা। সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের পাঠানো সহজ। এর আগেও সমুদ্রপথে এসে সুন্দরবন দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে বহু রোহিঙ্গা। মাছের ট্রলারে করে দালালদের হাত ধরে এসেছে বহু রোহিঙ্গা পরিবারও। গোয়েন্দাদের মতে, এবারও মাছের ট্রলার বা নৌকো অথবা বিদেশি জলযানে করে চোরাপথে এদেশে ঢুকতে পারে রোহিঙ্গারা।
মায়ানমারের এই বাসিন্দারা বাংলাদেশ থেকে যে রুটগুলি ধরে অনুপ্রবেশ করতে পারে, সেগুলির ম্যাপও তৈরি করেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, সমুদ্র পেরিয়ে হরিভাঙা নদী, বিহারীখাল হয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হতে পারে সামশেরনগরের ভূখণ্ডের দিকে। আবার রায়মঙ্গল দিয়ে টি জংশনের কাছে এসে কালীতলা, কুমীরমারি অথবা হেমনগরের দিকে কোনও ডাঙায় উঠে পড়তে পারে তারা। কিন্তু কেন্দ্রের কড়া নির্দেশ, একজন রোহিঙ্গা যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে। তাই রোহিঙ্গাদের রুখতে এখন সুন্দরবনে অতিরিক্ত সতর্ক বিএসএফ। জানা গিয়েছে, তল্লাশির কাজে বিএসএফকে সাহায্য করছে পুলিশও।
[সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সতর্ক ঢাকা, নিষিদ্ধ রোহিঙ্গা সমর্থক তিন সংগঠন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.