অভিরূপ দাস: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত থেকে বঙ্গভূষণ সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। মাস কাটতে না কাটতেই শোকে মুহ্যমান সেই প্রখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. যোগীরাজ রায়। নাগেরবাজার থানার অন্তর্গত তাঁর প্রফুল্লকাননের ফ্ল্যাট থেকে চুরি গেল ঘর সাজানোর মূল্যবাণ সামগ্রী।
কিছুদিন আগেই নাগেরবাজার থানা এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছিলেন চিকিৎসক যোগীরাজ। একবারে ফ্ল্যাটের ইন্টেরিয়র ডেকরেশনের খরচ বিপুল। ধীরে ধীরে সাজাচ্ছিলেন ফ্ল্যাট। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বর থেকে দরদাম করে নিজেই কিনে এনেছিলেন ফ্ল্যাট সাজানোর সামগ্রী। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই দেখেন নতুন ফ্ল্যাট থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে সব। এরপরেই নাগের বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রখ্যাত চিকিৎসক। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও চিকিৎসকের গলায় হতাশার সুর। তাঁর কথায়, একবার চুরি হয়ে গেলে সে জিনিস কি আর ফেরত পাওয়া সম্ভব?
সূত্রের খবর, প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার সামগ্রী ছিল সেখানে। ফের ওই টাকার সামগ্রী কিনে আনা তাঁর পক্ষে এখনই সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক। এদিন সোশ্যাল সাইটে চিকিৎসক জানিয়েছেন, “সকাল সকাল দেখি নতুন ফ্ল্যাটের জন্য রাখা বাথরুম ফিটিংগুলি সব চুরি হয়ে গ্যাছে। সাধের কলেজ স্ট্রিট থেকে বেছে বেছে আনা। মনটা খুব খারাপ। থানার বাবুরা ঘুরে গেলেন।” এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসক জানতে পেরেছেব দমদম অঞ্চলে ফ্ল্যাট এ ঢোকার আগে দু’চার বার চুরি তেমন কিছু ব্যাপার নয়। অনেকের কাছেই এ অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। হতাশ চিকিৎসকের উক্তি, “মনে হচ্ছে কদিন সব ছেড়ে পালাই।”
উল্লেখ্য, “কোভিড আবহে চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ের ভূমিকা অপরিসীম। আমজনতা তো বটেই অগুনতি বিখ্যাত মানুষকে নতুন জীবন দিয়েছেন এই সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। সে সময় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কোভিড রোগীদের শুশ্রূষার ভার ছিল তাঁর হাতে। চিকিৎসকের কথায়, যিনি চুরি করেছেন তিনি হয়তো জানেন না, যথেষ্ট লড়াই করেই ওগুলো কেনা। ফোকটের মাল নয়। করোনা চিকিৎসায় করোনা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল কমিটিতেও ছিলেন ডা. যোগীরাজ রায়। চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালির নেতৃত্বে তৈরি পাঁচ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন চিকিৎসক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, অসীম কুণ্ডু, যোগিরাজ রায়, সৌরভ মানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.