Advertisement
Advertisement

Breaking News

অট্টহাস

মন্দিরে লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি, জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

একাধিকবার হামলা চালানো হয় পুলিশের উপর।

Robbers sweep clean temple in Katwa, locals stage protest
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 18, 2019 6:08 pm
  • Updated:May 18, 2019 6:08 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: মন্দিরে চুরির ঘটনার তদন্তের জন্য এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুড়ের পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। আহত হয়েছেন এক এসআই-সহ দুই পুলিশকর্মী। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “কেতুগ্রামের অট্টহাস মন্দিরে চুরির ঘটনার তদন্ত চলছে। কয়েকজন পুলিশকর্মী রাউন্ডি গ্রামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন। তখন পুলিশের ওপর হামলা হয়। দু’জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

গত সোমবার গভীর রাতে কেতুগ্রামের সতীপীঠ অট্টহাস মন্দিরের তালা ভেঙে প্রায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকার গহনা ও সামগ্রী চুরি হয়ে যায়। ওইদিন মন্দিরের বাইরে দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন ছিলেন। মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো ছিল। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তার ফাঁক গলে দুস্কৃতীরা তালা ভেঙে দেবী প্রতিমার মূল্যবান গহনা ও প্রচুর দামি সামগ্রী চুরি করে পালায়। মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ সূত্র ধরে ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। 

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ফের আত্মহত্যা বিশ্বভারতীতে, হস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ ]

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে কেতুগ্রামের রাউন্ডি গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল শেখ নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে আসে। তাকে থানায় আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাউন্ডি গ্রাম থেকে প্রায় ৪৫-৫০ জন থানায় চলে আসেন। তাঁদের নেতৃত্বে ছিল ওই গ্রামেরই বাসিন্দা জাভেদ শেখ। পুলিশের বক্তব্য, জুয়েলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা। তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে কেতুগ্রাম থানার পুলিশের একটি বাহিনী দুটি গাড়ি নিয়ে ফের রাউন্ডি গ্রামে আসে।অভিযোগ,  যখন জাভেদ শেখ নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল,  তখন পুলিশের গাড়ি আটকে হামলা চালান গ্রামবাসীরা।  জানা গিয়েছে, রাত প্রায় দুটো নাগাদ জাভেদকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের লোকজন অনেকেই জেনে যায়। কারণ রমজান মাসে গ্রামবাসীদের অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন। 

[ আরও পড়ুন: নিজের উর্বর জমি বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের, পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ ]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাভেদকে গাড়িতে তোলার পরেই মসজিদের মাইকে একজন ঘোষণা করে দেন জাভেদকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পুলিশের একটি গাড়ি গ্রাম থেকে বেড়িয়ে আসতে পারলেও পিছনের গাড়িটি গ্রামের লোকজন আটকে দেয়। চলে ইটবৃষ্টি ও ভাঙচুর। পুলিশকর্মীদের মারধরও করে ক্ষুব্ধ জনতা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ চুরির ঘটনার তদন্তের নামে পুলিশ নিরীহ মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে হেনস্তা করছে।

পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে যায়। তাঁরা উদ্ধার করে আনেন আক্রান্তদের। জানা গিয়েছে কৌশিক সরকার নামে এক পুলিশ আধিকারিক ও একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশবাহিনী।

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement