ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: তালা ভেঙে আবাসনের ভিতরে ঢুকে বিডিও ও তাঁর স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে হাত, পা, মুখ বেঁধে ডাকাতি করল একদল দুষ্কৃতী। শুক্রবার ভোররাতে দুঃসাহসিক এই ডাকাতির ঘটনা ঘটল উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ার এক নম্বর ব্লকের বিডিও আবাসনে। খোদ বিডিওর বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। তাঁদের কথায়, প্রশাসনিক কর্তার বাড়িতেই যখন নিরাপত্তা নেই তখন সাধারণ মানুষ তো কোন ছাড়!
বেশ কিছু দিন ধরে হাবড়া, অশোকনগর, দেগঙ্গা এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। পুলিশ তার কিনারাই করতে পারেনি। এই প্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন এলাকার মানুষজন। অভিযোগ, রাত তিনটে নাগাদ যশোর রোড লাগোয়া অফিস সংলগ্ন বিডিওর বাংলোতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাংলোর পিছনের দিকের গ্রিলের তালা কেটে বাড়িতে ঢুকে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পাঁচজন দুষ্কৃতী। বিডিও শুভ্র নন্দী ও তাঁর স্ত্রী জেগে উঠলে তাঁদের গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে হাত, পা মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর চাবি নিয়ে লকারের গয়না, নগদ দশ হাজার টাকা ও সবকটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। বহু অনুরোধ করে বিডিও তাঁর সরকারি মোবাইলটি ফেরত পাননি। দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ছিল। ফলে তাদের চিনতে পারেননি বিডিও। সকালেই ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
একটি সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছবি ও কথা ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের চারজন অবাঙালি এবং একজন বাঙালি বলে মনে করেছে পুলিশ। কারণ, তারা হিন্দিতে কথা বলছিল। হাবড়া, অশোকনগর, দেগঙ্গায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষজন এমনিতেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। তার উপর এক প্রশাসনিক কর্তার বাড়িতে এই ধরনের ডাকাতিতে নিরাপত্তা তলানিতে ঠেকেছে বলে তাঁদের অভিযোগ। কিছুদিন আগে অশোকনগরে বিডিও অফিসের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি হয়। ফলে এটা একই দলের কাজ বলে মনে করেছে পুলিশ। পুজোর আগেও দেগঙ্গায় দুই মহিলাকে বেঁধে রেখে ডাকাতি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ডাকাতির ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগের সঙ্গে এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.