দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বুলবুলের প্রভাব এখনও কাটেনি। শনিবার রাতের পর রবিবারও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছে উত্তর ও দক্ষিণ ১৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তারই মধ্যে ত্রাণ বিলি নিয়ে ক্ষোভের জেরে রাস্তা অবরোধে নামলেন ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘণ্টাখানেক পর অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ ওঠে।
প্রবল শক্তি নিয়ে সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এই সতর্কবার্তা পেয়ে আগাম বিপর্যয় মোকাবিলায় কার্যত কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আর বুলবুল আছড়ে পড়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত ত্রাণ বিলি শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই ত্রিপল, খাবার, পানীয় জল বণ্টন করা হচ্ছে। সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা-সহ বিধ্বস্ত এলাকার বিধায়ক ছাড়াও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা পথে নেমে গোটা পরিস্থিতি দেখছেন। উপড়ে যাওয়া গাছে আটকে যাওয়া রাস্তাও সাফ করা হয়েছে দ্রুতগতিতে।
এসবের মধ্যেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্যানিংয়ে বিক্ষোভে নামলেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রামে ক্যানিং-গোলাবাড়ি রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। জনপ্রতিনিধিদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে উত্তেজনা বজায় ছিল এলাকায়। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সকলেই ঠিকঠাক ত্রাণ পাবেন, পুলিশ ও প্রশাসনের আশ্বাসে উঠে যায় অবরোধ।
প্রশাসনের তরফে ত্রাণবণ্টন নিয়ে এখনও তেমন অভিযোগ ওঠেনি। বিপজ্জনক এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তরিত করার পাশাপাশি দুর্যোগ কাটতেই জেলা প্রশাসন নেমেছে ত্রাণবণ্টনের কাজে। তাঁদের দাবি, ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রামে বিক্ষোভের ঘটনা একেবারেই বিক্ষিপ্ত। প্রশাসনিক সহায়তা সর্বত্র ভালভাবে এবং দ্রুতই পৌঁছে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও এমন ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে, তাও এড়ানো যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.