ফাইল ছবি।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পেশায় রাজমিস্ত্রি এক ব্যক্তির ঘর থেকে উদ্ধার হল ২০ বস্তা রেশনের চাল! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ডালের চ্যাটার্জী রুইদাস পাড়া এলাকায়। পুলিশ বাড়িতে হানা দিতেই উধাও অভিযুক্ত প্রশান্ত দাস। অভিযুক্তের দুই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চালের বস্তাগুলিও। কী কারণে ওই চাল মজুত করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে সকলকে ঘরে থাকার আবেদন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের যাতে খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়তে না হয় সেই কারণে সরকারের তরফে রেশনে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী বিলি শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রথম দফায় রেশনের সামগ্রী নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তাই দ্বিতীয় দফার গণবন্টন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে আরও কড়া প্রশাসনিক নজরদারির মধ্যে দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উখরা ফাঁড়ির পুলিশ হানা দেয় চ্যাটার্জী রুইদাস পাড়ার প্রশান্তবাবুর বাড়িতে। তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় ২০ বস্তা রেশনের চাল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেতেই এলাকায় জমায়েত করেন স্থানীয়রা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রশান্তবাবুর হদিশ না মেলায় তাঁর দুই ছেলেকে আটক করে পুলিশ। ধৃতরা জানান, তাঁদের বাবাকে এই চালের বস্তা রাখতে বলেছিল তাঁরই প্রতিবেশী এক মুদি দোকানের মালিক।
অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রির ছেলে সুবীর দাসের কথায়, “তারক গড়াই নামে এক ব্যবসায়ী ওই চালের বস্তাগুলি তাঁর বাবার সম্মতিতে তাঁদের বাড়িতে রেখে যায় সোমবার রাতে।” তবে ওই চাল রেশনের কি না তা জানা নেই বলেই দাবি যুবকের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত সদস্য কমলাকান্ত বন্দোপাধ্যায় বলেন যে, “লকডাউনে মানুষ যাতে খাদ্যকষ্টে না পড়েন তার জন্য রাজ্য সরকার প্রতিটি মানুষের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আর রেশন ডিলার অশুভ যোগাযোগের ফলে বদনাম হচ্ছে রাজ্য সরকার। “
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোন রেশন ডিলার এই চাল পাচার করেছে তার সন্ধান শুরু করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.