সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতারাতি পালটে গেল বালির অশ্বত্থতলা প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে মিলের মেনু। সোমবার যেখানে পড়ুয়াদের পাতে পড়েছিল শুকনো মুড়ি আর পিঁয়াজ, বুধবার সেখানেই পড়ুয়াদের জন্য রান্না হল ডিম-ভাত। কিন্তু কেন সোমবার মুড়ি-পিঁয়াজ দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের? কেনই বা মঙ্গলবার তাও জোটেনি, সে বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষকের কাছে উত্তরের অপেক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
দিনকয়েক আগে মিড-ডে মিল ইস্যুতে শিরোনামে উঠে এসেছিল হুগলির চুঁচুড়া বাণীমন্দিরের নাম৷ সেখানে মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে জুটেছিল নুন-ভাত৷ এরপর একাধিক স্কুলের অন্দরে হানা দিলে ধরা পড়ে একই ছবি। প্রতিবাদ জানান অভিভাবকরা। মিড-ডে মিলে নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকাও তৈরি হয়। কিন্তু তাতেও যে আদতে কোনও ফলই মিলছে না, ফের তার প্রমাণ মেলে মঙ্গলবার। সোমবার হাওড়া বালির অশ্বত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলে দেওয়া হয় শুকনো মুড়ি ও পিঁয়াজ। মঙ্গলবার কিছুই খেতে দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক।
যদিও এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন, “গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছে, সেই কারণেই রান্না করা সম্ভব হয়নি। তাই পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে মুড়ি, পিঁয়াজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম।” এরপর মঙ্গলবারও পড়ুয়াদের কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়রাই পড়ুয়াদের জন্য কেক, বিস্কুটের ব্যবস্থা করে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার নিন্দায় সরব হয় সব মহল। তবে বুধবার ঠিক উলটো ছবি স্কুলে। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে রান্না। খাদ্যতালিকায় রয়েছে ডিম-ভাত। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, গ্যাসের সমস্যা মিটে গিয়েছে, সেই কারণেই রান্না হচ্ছে। কিন্তু কেন আগেই গ্যাসের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেনি স্কুল? কেন রান্নার অন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি? কেন মুড়ি-পিঁয়াজ দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের, এর যথাযথ উত্তর দিতে না পারলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.