শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের গরুমারা অভয়ারণ্যে ফের গণ্ডার শিকার। জঙ্গলে ঢুকে গণ্ডার মেরে খড়গ নিয়ে পালাল চোরাশিকারিরা। অভয়ারণ্যের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তে নেমেছে বনদপ্তর।
রোজকার মতোই মঙ্গলবার সকালেও জলপাইগুড়ির গরুমারা অভয়ারণ্যে টহল দিচ্ছিলেন বনরক্ষীরা। জঙ্গলের ভিতরে গড়াতি এলাকায় একটি গণ্ডারের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কিন্তু মৃতদেহটিতে খড়গ ছিল না। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃত গণ্ডারটি খাড়াসিং নামে পরিচিত ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান বনদপ্তরের আধিকারিকরা। কিন্তু, দিনভর তল্লাশি চালিয়েও গণ্ডারের খড়গটির খোঁজ মেলেনি। তবে গণ্ডারটিকে যে চোরাশিকারিরাই মেরে ফেলেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বনদপ্তরের। এদিকে যে এলাকা থেকে গণ্ডারের মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছে, সেই এলাকা কাছেই গরুমারা বিট অফিস। তাই গরুমারা অভয়ারণ্যের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বনরকর্মীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে গণ্ডার শিকার করল চোরাশিকারিরা? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়মাফিক গণ্ডারের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলেও জানা গিয়েছে।
[ ডুয়ার্সের চা বাগানে ফের খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ, দেখুন ভিডিও]
ডুয়ার্সের গরুমারা অভয়ারণ্যে গণ্ডারকে শিকার অবশ্য প্রথম নয়। গত বছরের মার্চ মাসেও একই কায়দার গরুমারা অভয়ারণ্যে ঢুকে দুটি গণ্ডারকে মেরে ফেলেছিল চোরাশিকারিরা। সেবারও যথারীতি খড়গ নিয়ে পালিয়েছিল তারা। ঘটনার তদন্তে নেমে জঙ্গি যোগের সন্ধান পান বনদপ্তরের আধিকারিকরা। মণিপুর থেকে লিং ডং মুয়াং নামে এক চোরাশিকারিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। বনদপ্তরের আধিকারিকদের অনুমান, চোরাশিকারিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের একাংশও। তাই সহজেই জঙ্গলে ঢুকে পড়ছে চোরাশিকারিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.