Advertisement
Advertisement

Breaking News

RG Kar Medical College & Hospital

‘গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’, ডায়েরির শেষ পাতায় স্বপ্ন বুনে না ফেরার দেশে আর জি করের চিকিৎসক

ছোট থেকে মেধাবী ছিলেন আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক।

RG Kar Medical College & Hospital: Father revealed that his daughter's final entry in her personal diary talked about becoming a gold medallist

ফাইল ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 16, 2024 12:31 am
  • Updated:August 16, 2024 12:34 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট থেকে মেধাবী। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। বহু কষ্টের পর মেলে সাফল্য। গোল্ড মেডেলিস্ট হওয়ার স্বপ্ন ছিল মেধাবী ছাত্রীর। দুচোখে স্বপ্ন নিয়েই না ফেরার দেশে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক। অভিশপ্ত রাতের ঠিক আগে নিহত চিকিৎসক ডায়েরিতে নাকি সেকথাই লিখে গিয়েছেন, দাবি সদ্য সন্তানহারা বাবার।

উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা চিকিৎসক। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা তাঁর। বরাবর মিশুকে, শান্ত স্বভাবের। নিহত চিকিৎসকের বাবা জানান, “ছোট থেকে বইয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর মেয়ের। দিনে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করেই কাটত। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে খুব পরিশ্রম করেছেন তরুণী। মেয়েকে বড় করার পিছনে অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে মধ্যবিত্ত বাবা-মায়ের। নানা কাঠখড় পুড়িয়ে স্বপ্নপূরণ হল। মেয়ে চিকিৎসক হল। কিন্তু আচমকা সব শেষ।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হল না জিজ্ঞাসাবাদ, সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও মুহূর্তে গাড়িতে উঠলেন আর জি করের অধ্যক্ষ]

তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। সর্বত্র সমালোচনার ঝড়। আন্দোলনে শামিল প্রায় সকলে। দেশজুড়ে চলা আন্দোলনই যেন সদ্য সন্তানহারা বাবাকে সাহস জোগাচ্ছে। কিন্তু সন্তানশোক কী ভোলা যায়? তাই তো কঠিন বাস্তব মানতে পারছেন না তিনি। তবু কান্না ভেজা চোখে সদ্য সন্তানহারা বাবার বক্তব্য, “মেয়েকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু দেশজুড়ে যেভাবে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে সুবিচারের জন্য লড়াইয়ের সাহস পাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট তরুণী চিকিৎসক নাইট শিফটে ছিলেন। সেই রাতেই তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয় তরুণীর। পুলিশ এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। তবে গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। বর্তমানে ধৃত সঞ্জয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। আইনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে তরুণী চিকিৎসকের বাবার। তিনি বলছেন, “নিশ্চয়ই সুবিচার পাব। দোষীর কঠোর সাজাই একমাত্র মনের জ্বালা জোড়াতে পারে আমাদের, আর কিছুই নয়।”

[আরও পড়ুন: শরীর স্পর্শ করতেই চিৎকার, বারণ না শোনায় তরুণীর মাথা ঠুকে দিই! পুলিশকে জানায় সঞ্জয়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement