ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাকপুর: ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ৫ মাস পর রায়দান হয়ে চলেছে আর জি কর মামলার। আগামী ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালত রায় দেবে। এতদিন এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে একমাত্র অভিযুক্ত ধরেই এগিয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার রায়দানের দিনক্ষণ উল্লেখ করে আদালত জানায়, ১৮ তারিখই তার সাজা ঘোষণা হবে। এতদিনে মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া চরম নৃশংসতার বিচার হবে, তা জেনে কিছুটা আশ্বস্ত অভয়ার পরিবার। বাবা বললেন, ”বিচারের প্রথম সিঁড়ি হয়তো আমরা পার করতে পেরেছি। ১৮ তারিখ যেই রায় আসুক না কেন, বুঝব, মেয়ে বিচার পেল।” তবে সিবিআই তদন্ত নিয়ে তেমন খুশি নন মা। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”সিবিআই এখন আমাদের প্রতিপক্ষ বলে মনে করতে পারে, এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওরা আমাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিচ্ছে না।”
সিবিআই তদন্তে অসন্তোষের জেরে আগেই এনিয়ে স্বচ্ছতার দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে অভয়ার পরিবার। এদিন সেকথা ফের উল্লেখ করে মা বললেন, ”পুনরায় তদন্তের নিয়ে হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা চাইছি, এই ঘটনার পিছনে যারা যারা আছে, সেই সমস্ত অপরাধীকে সামনে এনে সবার উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। সিবিআইকে আমরা আর দরবার করব না, যা দরবার করার আদালতে করব।”
তিনি এও বলেন, ”আমরা সিবিআই চাইনি, ভালো তদন্তকারী সংস্থা চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালতের নির্দেশের সিবিআই তদন্ত করেছে। তাই সিবিআই এর সম্পর্কে যা যা বলার আদালতেই বলব। আদালতকে জানিয়েছি, সিবিআই ঠিকমত কাজ করছে না। সিবিআই তদন্ত করার পর যে সমস্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়েছে তা দেখে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা হতবাক হয়েছেন। কলকাতা পুলিশ যে তদন্ত করেছিল কার্যত তাতেই সিলমোহর লাগিয়ে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছিল। সিবিআইয়েরও কারও না কারও সঙ্গে কোনও ব্যাপার আছে, না হলে কেন এরকম করল? আমাদের মনে হয়, সেটিং করে সিবিআইকে চার্জশিট দিতে দিল না।”
অভয়ার বাবার বক্তব্য, ”অমিত শাহ যেদিন কলকাতা এলেন, কিন্তু আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন না সেদিন আমাদের খুব উদ্বেগের মধ্যে কেটেছিল। তারপর ঠিক করেছি, দিল্লিতে দরবার আর করব না। কারণ, যাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কোনও লাভ নেই। তবে রাজ্যের বিরোধী দল এখনও পর্যন্ত আমাদের সবরকম সহযোগিতা করছে। পাঁচমাস পর আদালতই আমাদের একমাত্র ভরসা। সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা যেভাবে আন্দোলনকে নিয়ে যাবে, আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.