সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পুরমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাসিন্দারা। পানীয় জল সরবরাহের জন্য ক্লাবের লোকজন টাকা নেয়। টাকা দিতে না পারলে গরিব মানুষের বাড়ির পানীয় জলের লাইন কেটে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রয়োজনে এফআইআর করারও নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসককে। পুরমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি বর্ধমান-২ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের গোপালনগরের বাসিন্দারা। পুরমন্ত্রী একইসঙ্গে বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, পানীয় জল, রাস্তাঘাট-সহ যে কোনও সমস্যায় দিদিকে বলোতে ফোন করে জানাবেন। তিনি বলেন, “দিদিকে বলোতে জানালেই কাজ হবে। এমনকী ববি হাকিম কাজ না করলে তার বিরুদ্ধেও দিদিকে বলোতে অভিযোগ জানাবেন।”
সোমবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক শেষে শহর সংলগ্ন এলাকায় পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কানাইনাটশাল বাংলোতে যান। সেই সময় পুরমন্ত্রী সংলগ্ন গোপালনগর গ্রামে যান। সেখানে মহিলারা পুরমন্ত্রীকে নালিশ করেন, এলাকার পানীয় জল প্রকল্পের জন্য প্রতি বাড়ি থেকে মাসে ৬০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে তাঁরা জল পাচ্ছেন না। এমনকী গরিব মানুষ যাঁরা এই টাকা দিতে পারছেন না তাঁদের লাইন কেটে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক বিজয় ভারতীও। সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে।
ববি হাকিম পরে জানান, রাজ্য সরকার কোথাও জলকর নেয় না। গরিব মানুষের কাছে কোনও জলকর নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন, “কারা এমন করছে তা দেখার জন্য জেলাশাসককে বলেছি। বাসিন্দাদেরও বলেছি আপনারাও জলকর দেবেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.