সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা থেকে গোপন তথ্য বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে ওই সংস্থায় কর্মরত এক বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার গোপন তথ্য সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছেন তিনি।
[তৃণমূল বিধায়ক খুনে সিআইডি’র জালে মূল অভিযুক্ত]
ধৃতের নাম রুদ্র চট্টোপাধ্যায়। দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা সিএমইআরআই বা সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কাজ করেন এই বিজ্ঞানী। জানা গিয়েছে, দুই মাস আগে একটি বিশেষ প্রোজেক্টে কাজ করার জন্য তাঁকে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় বদলি করা হয়। বিজ্ঞানী রুদ্র চট্টোপাধ্যায় যখন দুর্গাপুরে চাকরি করতেন, তখন সিএমইআরআই-র বেশ কিছু গোপন তথ্য সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে যায়। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়চড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি জানানো হয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকে। সিএমইআরআই-কে থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয় দুর্গাপুর থানায়। তবে এফআইআরে অভিযুক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে দুর্গাপুরের সিএমইআরআই কর্তৃপক্ষ।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সিএমইআরআই-এ কর্মরত বিজ্ঞানী রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, রুদ্র চট্টোপাধ্যায় একা নন, তথ্য পাচারের নেপথ্যে কাজ করছে একটি চক্র। অভিযুক্ত বিজ্ঞানীকে জেরা করে চক্রের পর্দা ফাঁস করতে চায় পুলিশ। এদিকে সিএমইআরআই-র গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ যথারীতি অস্বীকার করেছেন রুদ্র চট্টোপাধ্যায়। ওই বিজ্ঞানীর দাবি, “আমাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল, জানি না। সিএমইআরআই-র ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স কমিশন ও সিবিআইয়-এ অভিযোগ জানিয়েছি। মামলা চলছে।”
ছবি: উদয়ন গুহরায়
[ বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র কারখানা, জয়নগর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি উদ্ধারে গ্রেপ্তার ১]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.