অর্ণব আইচ, দিব্যেন্দু মজুমদার: ইরানে সোনার কাজ করতে গিয়ে আটক পড়া রাজ্যের ১২ জন কর্মীকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিল সিআইডি৷ আটকে পড়া কর্মীদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করা থেকে শুরু করে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পাসপোর্টের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা বলছে সিআইডি৷ কীভাবে তাঁদের দেশে ফেরানো যায়, সে বিষয়েও তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রাখার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে খবর৷ ইরানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠা এজেন্টদের খোঁজখবর নিতে শুরু করছেন সিআইডির আধিকারিকরা৷
আটকদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত মাস আগে পাণ্ডুয়ার এক এজেন্ট তাঁদের ইরানে নিয়ে যায়৷ ৫০ হাজার টাকা মাইনের টোপ দেয়৷ সোনার কাজ দেবে বলে পাণ্ডুয়ার চার যুবক-সহ মোট ১২ জনকে ইরানে নিয়ে যায় ওই এজেন্ট। সেখানে তারা তিন মাস ২৭ হাজার টাকা করে মাইনে দেয়। অভিযোগ, এরপর শেষ চার মাস ধরে তারা কোনও বেতন দিচ্ছে না। পাশাপাশি তাদের ইরানে একটি জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। পাণ্ডুয়ার ওই যুবকদের নাম রহিম আলি, বাড়ি পাণ্ডুরার জায়ের গ্রামে। গিয়াসুদ্দিন মালিক, বাড়ি কোটাল পুকুর। সাইফুল হাসান, বাড়ি পাণ্ডুয়ায়। সাইদুল ইসলাম, বাড়ি গুরজলা এলাকায়।
[খয়রাশোলে তৃণমূল ব্লক সভাপতি খুন, গ্রেপ্তার দুই বিজেপি নেতা-সহ ১১ জন]
রহিম আলির বাবা আজগর আলি বলেন, “সাত মাস আগে পাণ্ডুয়া থেকে আমার ছেলে-সহ মোট ১২ জন ইরানে সোনার কাজে গিয়েছে। তিন দিন আগে আমার ছেলে মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছে। সেখানে ওঁদের তিন মাস বেতন দেওয়ার দেওয়া দূরের কথা, ওদের আটকে রাখা হয়েছে।” পাশাপাশি ওদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আটকে পড়া কর্মীদের পাসপোর্টও নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ রত্না দে নাগ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা আকছার ঘটছে। এতেও মানুষের সচেতনতা বাড়ছে না। পরিবারটির উচিত পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে আনা। এরপর আমরা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করতে পারব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.