স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান: সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিলেন কেতুগ্রামের রেণু খাতুন। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে নার্সের (Injured Nurse) চাকরিতে যোগ দেন রেণু। আপাতত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরেই কাজ করবেন তিনি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ এলে পোস্টিং দেওয়া হবে তাঁকে। এদিন কাজে যোগ দিয়েই ‘মা’ সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেণু। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান বলেও জানান রেণু। এদিন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা রেণুকে স্বাগত জানিয়েছেন। পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনাও দেওয়া হয় তাঁকে।
নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেণু সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে নার্সের চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সরকারি চাকরিতে আপত্তি তোলে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রেণুর ডান হাত কবজি থেকে কেটে দেয়। রেণুকে দুর্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুটা সুস্থ হলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রেণুর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়।
হারতে নারাজ রেণু হাসপাতালেই বাঁ হাতে লেখা অভ্যাস করতে শুরু করেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, রেণু এখন তাঁর দপ্তরের কাজ করবেন। এদিন কাজে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ সম্বোধন করে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসহায়দের পাশে বরাবর দাঁড়িয়েছেন। তিনি অসহায়দের পাশে মায়ের মতো দাঁড়ান। তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। আমি কৃতজ্ঞ। তিনি এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
প্রসঙ্গত, স্ত্রী রেণুর (Renu Khatun) চাকরি নিয়ে নাকি কোনও আপত্তিই ছিল না তাঁর স্বামী সরিফুলের। বরং তার দাবি, রেণু অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। দিনভর ছেলেটির সঙ্গে চ্যাট করতেন। স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলার ভয়েই নাকি হাত কেটে নিয়েছিল শরিফুল। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় ফের একই দাবি করেছিল অভিযুক্ত সরিফুল। ইতিপূর্বে আদালতেও একই কথা জানিয়েছিল সে। তার কথা শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, এখনও নিজেকে বাঁচাতে সাফাই দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.