সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাঙ্গা কখনও ধর্ম হতে পারে না। বিজেপি হিন্দুধর্মকে অপমান করছে, হিন্দু ধর্ম মানে সহনশীলতা। এই বলে ফের একবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ভারতীয় জনতা পার্টি। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ব্লকস্তর পর্যন্ত সাংগঠনিক সদস্যদের সমর্থনে ফের দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সভানেত্রী নির্বাচতি হয়েই বিজেপির উপর ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন তিনি তোপ দেগে বলেন, ‘বিজেপি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করছে। প্রেস-মিডিয়া ওদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না, ওদের কন্ঠ রোধ করে দিয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে বিজেপি। আমরা সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু মানবিকতাই আমাদের প্রধান পরিচয়।’ উল্লেখ্য, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুব্রত বক্সীকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বেছে নেন।
এদিন সম্মেলন শুরু হওয়ার পর থেকেই রণংদেহী মেজাজে অবতীর্ণ হন তৃণমূলনেত্রী। একের পর এক কটাক্ষে তিনি বিজেপির উপর নিশানা সাধেন। তাঁর বক্তব্য, ধর্ম মানুষকে জোরে, ভাগ করে না। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশের ফটো, ভিডিও পোস্ট করে তা বাংলার বলে চালায়। গুজব ছড়াচ্ছে ওরা, ওতে কান দেবেন না।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বিজেপি। জাল ফটো দেয় আর আমার কথাকে বিকৃত করে। ওদের মোকাবিলা করতে হবে।’ এদিন তিনি হুঁশিয়ারি দেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি বরদাস্ত করবেন না তিনি। অন্য রাজ্য থেকে লোক নিয়ে এসে বাংলায় সমস্যা সৃষ্টি করার অভিযোগ তোলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সিপিএমকেও নিশানা করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, সিপিএম কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধে আবার কখনও বিজেপির সঙ্গে। সম্প্রতি, গো-মাংস ভক্ষণ নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে যে বিতর্কের আগুন জ্বলছে তাতে ঘৃতাহুতি করে মমতা বিজেপির কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘মানুষ কী খাবে, পরবে সেটা ওরা ঠিক করার কে? ওরা সাম্প্রদায়িক কুৎসা, অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, নারদা মামলায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। নজরে রয়েছে আরও ১৭ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন বলেন, ‘কতজন নেতাকে ওরা জেলে পাঠাবে? অদের সাহস থাকলে আমাদের সব সাংসদ, বিধায়ক, নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করুক।’ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলকে বারবার টার্গেট করা হয় কারণ তারা সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলে। এদিন ফের দেশের স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক হওয়ার বার্তা দেন।
ছবি সৌজন্যে- সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.