সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: রাতভর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলার পর পাহাড় কেটে জাতীয় সড়ক নির্মাণ করলেন পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা৷ লাগাতার কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর খুলে দেওয়া হয় দশ নম্বর জাতীয় সড়ক৷ আপাতত, একমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করে খুলে দেওয়া হয়েছে ধসে বিধ্বস্ত সিকিমের লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়ক৷
কালিম্পংয়ের রম্ভি ও তিস্তাবাজারের মাঝে ২৯ মাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধস নামে। তার ফলে জাতীয় সড়কের ৮০ শতাংশ তিস্তার গর্ভে চলে যায়৷ ফলে ওই পথে যান চলাচল বন্ধ৷ এর জেরে বিপাকে পড়েন পর্যটকরা৷ আটকে পড়া পর্যটকেরা অনেকেই ঘুরপথে শিলিগুড়িতে নামেন৷ এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে বিকেল থেকে রাত জেগে কাজ করেন পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা৷ পূর্ত বিভাগের সহকারী বস্তূকার (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার) উত্তম প্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের অন্তত ২০ মিটার অংশ ধসে তিস্তায় ভেসে গিয়েছে৷ এখানে তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ রয়েছে৷ রাস্তার অন্যদিকে পাহাড়৷ ফলে, পাহাড় কাটা ছাড়া রাস্তা নির্মাণ করার আর কোনও উপায় ছিল না৷ ফলে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হয়েছে পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা৷ তবে, রাস্তা খুলে দিলেও আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে৷ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাস্তা সংস্কারের জন্য পালা করে দু’ঘণ্টা করে করা কাজ চলবে৷ ওই সময় রাস্তা বন্ধ থাকবে৷
[দলের অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিকে জেল খাটানোর হুমকি, ফের বিতর্কে অনুব্রত]
এদিকে, ওই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ শুধু ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেই নয়, ধসে বিধ্বস্ত ৩১-সি জাতীয় সড়কেও চলছে নজরদারি৷ সেবকের কাছে মংপংয়ে ৩১-সি জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে গিয়ে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে৷ এখানেও তিন দিন আগে ধস নেমে যান চলাচল ব্যাহত হয়৷
দেখুন ভিডি:
[ দেড় বছর পর দেখা, ফেসবুকই মিলিয়ে দিল মা ও ছেলেকে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.