ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও মণিরুল ইসলাম: হাবড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে দিন তিনেক আগে। তারই মধ্যে মৃতের বোনের শরীরেও মিলল করোনার জীবাণু। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরেও এক মৃতের পরিবারের একজনের রিপোর্ট COVID-19 পজিটিভ। দুই জেলা দু
‘প্রান্তে এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের মানুষজনের মধ্যে।
কিডনির সমস্যা ও সেপটিসেমিয়ার চিকিৎসা করাতে গত মাসের ২৭ তারিখ হাবড়ার বানীপুর এলাকার বাসিন্দা বছর তিয়াত্তরের বৃদ্ধ ভরতি হয়েছিলেন দমদম মিউনিসিপ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ৩০ এপ্রিল তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওই বৃদ্ধকে বারাসত কদম্বগাছি COVID হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয় সেখানে। বৃদ্ধের সংস্পর্শে আশায় তাঁর পরিবারের দুই সদস্যকে হোম কোয়ারাইন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। পরে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। বুধবার জানা যায়, মৃত ওই বৃদ্ধের বোনের শরীরেও করোনা বাসা বেঁধেছে। আক্রান্ত ওই ৬২ বছরের মহিলার চিকিৎসা শুরু হয়েছে COVID হাসপাতালে।
উদয়নারায়ণপুরেও একই পরিস্থিতি। করোনা আক্রান্ত মৃতের পরিবারের একজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। দিন কয়েক আগে উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার প্রেক্ষিতে মোট ৫৩ জনের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। বৃহস্পতিবার ৫৩ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায়, ওই মৃতের ভাইপো COVID-19’এ আক্রান্ত। তবে আশার খবর, বাকি ৫২ জনের সকলেরই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এই ৫২ জনের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ২৩ জন ছিলেন। আর বাকি ৩০ জন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। এরা ওই বৃদ্ধের সঙ্গে প্রাথমিক সংস্পর্শে এসেছিলেন।
এক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নতুন করোনা আক্রান্তকে উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন ভোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি এতদিন হোম কোরানটাইনে ছিলেন। আর করোনা আক্রান্তের স্ত্রী মেয়ে ও মাকে হোম কোরানটাইনে থাকতে বলা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
তবে আশার কথা, যেহেতু চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ করোনা আক্রান্ত হননি তাই দ্রুত উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চালু করা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হওয়ায় উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। সেখানে ভরতি থাকা রোগীদের দেবীপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুরপাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.