Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jalpaiguri

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ দুই শিক্ষক, ‘প্রক্সি’ দিচ্ছেন আত্মীয়রাই! জলপাইগুড়ির ঘটনায় তাজ্জব সকলে

বিষয়টি জানতেনই না প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান!

Relatives are doing proxies for two teachers who have been sick for a long time in Jalpaiguri | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 11, 2023 8:08 pm
  • Updated:February 12, 2023 2:30 pm  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: অসুস্থতার কারণে স্কুলে আসছেন না দুই শিক্ষক। আর তাঁদের প্রক্সি দিচ্ছেন বোন ও ছেলে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘটে চলেছে এমনটাই। শনিবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্স জুড়ে। এই খবর পেয়ে চমকে উঠেছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (WBPEE) চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায়। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, বানারহাট ব্লকের পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary school) শিক্ষক সুদীপ্ত কুমার দে চার বছর ধরে অসুস্থ। তাঁর জায়গায় স্কুলে এসে ছাত্র পড়িয়ে যাচ্ছেন তাঁর বোন রূপা দে। এখানেই শেষ নয়। এই স্কুলের আর এক প্যারাটিচার মণি পাল বোস এক বছর ধরে অসুস্থ থাকায় ছেলে প্রীতম বোস এসে তাঁর জায়গায় ক্লাসে পড়াচ্ছেন। প্রীতম নিজে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে কর্তব্যরত। তারপরও তিনি স্কুলে পড়ান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগেই ধাক্কা ভারতের মেয়েদের, পাকিস্তান ম্যাচে নেই স্মৃতি মন্ধানা]

এই ঘটনা জানাজানি হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একজনের জায়গায় আর এক জন কি পারেন শিক্ষকতা করতে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।তবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালী গঙ্গোপাধ্য়ায়। তার বক্তব্য, ”স্কুলের বিষয় বাইরে কেন বলব?” শিক্ষক সুদীপ্ত কুমার দে’র বোন রূপা দে জানিয়েছেন, দাদা অসুস্থ। স্কুলে আসতে পারেন না। ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, এই ভেবেই স্কুলে এসে ক্লাস নিচ্ছেন। প্রীতম বসুর দাবি, মা অসুস্থ থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই মায়ের জায়গায় ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: প্রোমোটারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে অবৈধ প্ল্যান পাশ বরো ইঞ্জিনিয়ারের! ক্ষুব্ধ ফিরহাদ]

ঘটনায় রীতিমতো অন্ধকারে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায়। তিনি জানান, এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। খোঁজ নেবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement