Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anubrata Mandal

অনুব্রতকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো শিবঠাকুরের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ! কী বলছেন আত্মীয়রা?

বিস্ফোরক শিবঠাকুরের আত্মীয়রা।

Relatives and neighbors are complaining against Shivthakur Mandal who lodged FIR against Anubrata Mandal | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 22, 2022 8:18 pm
  • Updated:December 22, 2022 8:18 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবার বিতর্কের মুখে দুবরাজপুরের শিবঠাকুর মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলা শিবঠাকুর মণ্ডলের বিরুদ্ধে নাকি নাকি ভুরি ভুরি অভিযোগ তাঁরই আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। এ বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। সেই শিবঠাকুর মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ অবাক করেছে স্থানীয়দের। এদিকে এদিন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন শিবঠাকুর মণ্ডল।

জানা গিয়েছে, শিবঠাকুর মণ্ডলের বিরুদ্ধেই বেআইনিভাবে চাকরিতে নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়া ও মারধরের অভিযোগ রয়েছে। শিবঠাকুর মণ্ডলের কাকা দীপক মণ্ডল জানান, বুধবার দুবরাজপুরের সারি বাগানের কাছে শিবঠাকুর তাঁকে হুমকি দেয়। পুরনো কথা গোপনে রাখার নির্দেশ দেয়। মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। তা সত্ত্বেও শিবঠাকুরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, সিপিএম করা শিবঠাকুর তৃণমূলে ঢুকে বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান হন। ক্ষমতাবলে জুনিয়র কনেস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য তাঁর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন। দীপকের মতো আরও কয়েকজন গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা নেন। চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা চাইতে গেলে শিবঠাকুর তাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর সেই মর্মে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দীপক মণ্ডলের সম্বন্ধী দীনবন্ধু মণ্ডলকেও মারধর করা হয়। তিনি জানান, “আমরা থানায় অভিযোগ করলে দুবরাজপুর থানার পুলিশ সারাদিন বসিয়ে রেখে অভিযোগ প্রত্যাহার করে সমঝোতা করার পরামর্শ দেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: জিতেন্দ্রপত্নীর ফ্ল্যাটে তালা, জেরা করতে গিয়ে পরপর দু’বার খালি হাতে ফিরল পুলিশ]

দ্বিতীয় অভিযোগ করেন দুবরাজপুর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুপা বাগদি। সিপিএম সদস্য লালটু বাগদির অভিযোগ, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল শিবঠাকুর মণ্ডল তাদের উপর চড়াও হয়। থানা অভিযোগ নেয়নি। এমনকি তারা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করলেও লাভ হয়নি। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়। যদিও শিবঠাকুর মণ্ডলের জানান, “আমিই এখনও দীপকের কাছে টাকা পাব। সেটা দিতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।” তবে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ অভিযোগে কেন এই ততপরতা সে নিয়ে বিতর্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে।

[আরও পড়ুন: অন্য মামলায় পুলিশ হেফাজতে, গরুপাচার কাণ্ডে আসানসোল আদালতে পেশই করা হল না অনুব্রতকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement