শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকা কলকাতার বৈঠকে যোগ দিলেন না সম্প্রতি নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ বলে ঘোষণা করা বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। তার বদলে এদিন মেলার মাঠের কাছে বাড়িতেই দিনভর কাটিয়ে নিজের দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে কার্যত আরও বির্তকে জড়ালেন ইসলামপুরের (Islampur) বর্ষীয়ান বিধায়ক। তাঁর কথায়, “আমাকে নেত্রী ফোন করেননি। হোয়াটসঅ্যাপেও কোনও খবর দেওয়া হয়নি। পাঁচ বছর ধরে নেত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেন না। অথচ নেত্রীর ডাকেই আমি তৃণমূলে এসেছি। আর এখন তিনি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই কলকাতার বৈঠকে যায়নি।”
বস্তুত, এদিন কলকাতার কালীঘাটে (Kalighat) রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানরা বৈঠকে যোগ দিলেও ১১ বারের বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী ইসলামপুরের আবদুল করিম চৌধুরী স্বেচ্ছায় গরহাজির থাকেন। উলটে এদিন দুপুরে নমাজ পড়তে এসে ইসলামপুরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডে অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে করিম চৌধুরী বলেন, “আমাকে নেত্রী ফোন করেননি। হোয়াটসঅ্যাপেও কোনও খবর দেওয়া হয়নি। পাঁচ বছর ধরে নেত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেন না। অথচ নেত্রীর ডাকেই আমি তৃণমূলে (TMC) এসেছি। আর এখন তিনি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই কলকাতার বৈঠকে যায়নি।”
দলের ভূমিকায় রীতিমতো বিস্ফোরক করিমবাবুর অভিযোগ, “দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী আমাকে বেলাগামভাবে পদত্যাগের কথা বলেন। কিন্তু আমি এমএলএ তৃণমূলের হয়ে এলাকার সংগঠন ভিত্তিক পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)করব। তবুও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মানুষের রাস্তায় থাকব।”
এদিনের কলকাতার বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে করিমবাবু বলেন, “বৈঠকে দলের তরফে কোন পরিচিত নেতা ফোন করেননি। একজন অপরিচিত ব্যক্তি ফোন করে শুক্রবারের বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন। সেই ফোন আমি ধরিনি। ছোট ছেলে ইমদাদুল সেই ফোন ধরে বৈঠকে না যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয়।” ১৯৬৯ সাল থেকে প্রায় বাহান্ন বছর ধরে বিধায়ক করিম চৌধুরী বিধ্বস্ত সুরে বলেন, “তৃণমূলের জন্ম থেকে দলের জন্য লড়াই করছি। আর এখন কানাইয়া আর জাকিরের কথা মেনে আমাকে রাজনীতি করতে হবে,এটা হতে দেওয়া যায় না।তাই ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হিসেবেই থাকতে চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.