বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সোনার বরণ নয়, নদিয়ার (Nadia) ঐতিহ্যবাহী চট্টোপাধ্যায় পরিবারের প্রতিমা নীলবর্ণা। প্রায় তিনশো বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। রীতিমেনে আজও ওই বাড়িতে পূজিতা হন নীলবর্ণা দুর্গা।
আজ থেকে প্রায় তিনশো বছর আগে, ওপার বাংলায় থাকাকালীন পুজো (Durga Puja 2021) শুরু হয়েছিল চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। এই বাড়ির পুজোয় দেবীমূর্তির বামদিকে থাকে লক্ষ্মী-গণেশ। ডানদিকে থাকে কার্তিক-সরস্বতী। প্রথম দিকে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দেবীমূর্তি ছিল হলুদ। কথিত আছে, বাংলাদেশে থাকাকালীন একবার প্রতিমা তৈরির সময় শিল্পী ভুল করে হলুদের বদলে নীল রং করে দেন। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। অমঙ্গলের আশঙ্কা করেন।
ওই রাতেই স্বপ্নাদেশ দেন দেবী। বলেন, নীল রঙের সেই প্রতিমাকেই পুজো করতে হবে। সেই থেকে শুরু, আজও সেই নীলদুর্গাই পূজিতা হন চট্টোপাধ্যায়। ওপার বাংলা থেকে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কর্তা জীবনলাল চট্টোপাধ্যায় এপারে এসে শুরু করেন দুর্গাপুজো। জানা গিয়েছে, প্রথা মেনে আজও সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে পাঠা বলি হয় ওই বাড়িতে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “সারাবছরই পরিবারের সদস্যরা দেবীর পটে ধুপ-ধুনো, ফুল দিয়ে পুজো করে থাকেন। পঞ্চমীর দিন দেবী প্রতিমাকে বরণ করে নেওয়া হয়। একাধিক নিয়ম-নীতির মধ্য দিয়ে বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে পুজো। প্রথা মেনে আজও সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে পাঠা বলি হয়। পুজোর কয়েকটাদিন আত্মীয় সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে গোটা বাড়ি। করোনা পরিস্থিতিতে এবার সচেতনভাবে আয়োজন করা হচ্ছে পুজোর। এবারও তাতে কোনও খামতি নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.